আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব ত্রুসফায়ার থেকে দায়মুক্তি পাচ্ছে র্যাব

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

সব ত্রক্রসফায়ারের দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছে র্যাব। আর এ দায়মুক্তির কাজ চলছে অত্যনস্ন দ্রুততার সঙ্গে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই র্যাবের ত্রক্রসফায়ারের সব ঘটনার নির্বাহী তদনস্ন শেষ হবে। এ পর্যনস্ন যত ত্রক্রসফায়ারের তদনস্ন শেষ হয়েছে সবটিতেই র্যাবের গুলিবর্ষণের যথার্থতা প্রতিপল্পম্ন হয়েছে।

যথার্থ হয়েছে ত্রক্রসফায়ার ও এনকাউন্টার। তবে দেশের খ্যাতিমান আইনজীবী ও মানবাধিকার নেতা ড. শাহদীন মালিক একে কৌশলগত দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) বলেছেন। সরাসরি দায়মুক্তি দেওয়া হলে সমালোচনার ভয়ে নির্বাহী তদনস্নের মাধ্যমে ত্রক্রসফায়ারের যথার্থতা প্রতিপল্পম্ন করা হচ্ছে। শুরু থেকে চলতি বছরের 20 আগসদ্ব পর্যনস্ন র্যাবের নিজস্ট্ব হিসাব অনুযায়ী মোট 247টি ত্রক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। এসব ত্রক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে 330 জন।

210টি ত্রক্রসফায়ারের নির্বাহী তদনস্ন ইতিমধ্যেই সমঙ্ল্পম্ন হয়েছে। সব তদনস্নেই ত্রক্রসফায়ারকে যথার্থ ও যৌক্তিক বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। 25টি ত্রক্রসফায়ারের ঘটনার তদনস্ন এখন শেষ পর্যায়ে। আগামী 7 দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বাকি 15টির ঘটনার তদনস্ন শুরু হয়েছে।

এ মাসের মধ্যেই তদনস্ন শেষ হবে। এখন থেকে নতুন ত্রক্রসফায়ারের ঘটনায় 7 দিনের মধ্যে তদনস্ন সমঙ্ল্পম্ন করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয়ে অনুষ্ঠিত গত 2 আগসদ্বের বৈঠকে ত্রক্রসফায়ারের মামলাগুলোর নির্বাহী তদনস্ন দ্রুত নিষঙ্ত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ত্রক্রসফায়ারের তদনস্ন দ্রুততার সঙ্গে সমঙ্ল্পম্ন হতে থাকে। তবে এর আগেই জুলাই মাসে যে 46টি জেলায় র্যাবের ত্রক্রসফায়ার হয়েছে, জেলার জেলা প্রশাসককে দ্রুত নির্বাহী তদনস্ন শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয় স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয়ের সংশি্নষদ্ব শাখা থেকে।

পুলিশ প্রবিধান অনুযায়ী (পিআরবি) কোনো গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটার পরপরই তা তদনস্নের জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাটালিয়ন পরিচালক জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান। সে চিঠির ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক নিজে বা কোনো ম্যাজিসদ্ব্রেটকে দায়িত্দ্ব দিয়ে ঘটনা তদনস্ন করার ব্যবস্ট্থা করেন। তিনি সে তদনস্ন প্রতিবেদন সরাসরি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেন। বিভাগীয় কমিশনার প্রতিবেদন স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয়ে পাঠিয়ে দেন। র্যাবের ত্রক্রসফায়ারের প্রতিটি ঘটনায় একটি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলাগুলোর অধিকাংশই অপমৃতু্যর মামলা হলেও 302 ধারায় হত্যা মামলাও রয়েছে। র্যাবের মিডিয়া ও লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মাশুক হাসান আহমেদ জানান, নির্বাহী বিভাগের তদনস্নে গুলিবর্ষণ বা ত্রক্রসফায়ারের ঘটনা যথার্থ প্রতিপল্পম্ন হলে স্ট্বাভাবিকভাবেই ওই মামলাগুলোতে চূড়ানস্ন রিপোর্ট দেওয়া হয়। সহৃত্রমতে, 210টি ত্রক্রসফায়ার মামলার চূড়ানস্ন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ড. শাহদীন মালিক বলেন, ফৌজদারি অপরাধের প্রতিকার চাওয়ার ব্যাপারে কোনো সময়সীমা নেই। নির্বাহী তদনস্নের ভিত্তিতে ত্রক্রসফায়ারের মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হলেও যে কেউ এর বিরুদব্দে আদালতে যেতে পারেন।

তিনি বলেন, ম্যাজিসদ্ব্রেটের মাধ্যমে তদনস্ন করা হলেও তদনস্ন হচ্ছে নির্বাহী বিভাগের অধীন। ত্রক্রসফায়ারের তদনস্ন স্ট্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদনস্ন হওয়া উচিত। 2003 সালের 12 জুলাই আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অ্যাক্ট সংশোধন করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব গঠন করা হয়। র্যাব আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে 2004 সালের 21 মার্চ। তবে র্যাবের সঙ্গে ত্রক্রসফায়ারে মৃতু্যর ঘটনা শুরু হয় ওই বছরের 26 জুন থেকে।

র্যাব পুলিশ প্রবিধান অনুযায়ী আগ্গেম্নয়াস্ট্প ব্যবহারের নিয়মাবলি মেনে চলতে বাধ্য। প্রবিধান অনুযায়ী তিনটি কারণে আগ্গেম্নয়াস্ট্প ব্যবহার করা যায়_ 1. ব্যক্তির আত্দ্মরক্ষা, 2. বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা ও 3. কিছু পরিস্টি্থতিতে গ্রেফতার কার্যকর করার জন্য। গুলি চালানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলিও পুলিশ প্রবিধানে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্ক্নেখযোগ্য হলো যা একানস্ন অপরিহার্য তার চেয়ে বেশি আঘাত না করা ও গুলির উদ্দেশ্য সফল হওয়া মাত্রই গুলি চালানো বল্পব্দ করা। এর পরপরই গুলি চালানো যুক্তিসঙ্গত হয়েছে কি-না এবং নিয়ম মেনে করা হয়েছে কি-না তার নির্বাহী তদনস্ন করতে হবে।

নির্বাহী তদনস্নকারী একাধিক সহৃত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, র্যাবের ত্রক্রসফায়ারের ঘটনা প্রায় সবই রাতে ঘটেছে। সেক্ষেত্রে তদনস্ন করতে গিয়ে স্ট্থানীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ বা প্রত্যক্ষদশর্ী পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া গেলেও তারা নানা কারণে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী হয় না। র্যাবের শুরুতে ত্রক্রসফায়ারের নির্বাহী বিভাগের তদনস্ন হয়নি। শুরুর 5 মাসে 45টি ত্রক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটার পর জাতীয় ও আনস্নর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চাপে নির্বাহী বিভাগের তদনস্ন শুরু হয়।

এ পর্যনস্ন র্যাবের ত্রক্রসফায়ারের ব্যাটালিয়ন অনুযায়ী হিসাব নিয়ে জানা গেছে, র্যাব-1-এ 6টি, র্যাব-2-এ 16টি, র্যাব-3-এ 24টি, র্যাব-4-এ 23টি, র্যাব-5-এ 34টি, র্যাব-6-এ 78টি, র্যাব-7-এ 32টি, র্যাব-8-এ 12টি, র্যাব-9 এ 5টি, র্যাব-10-এ 5টি, র্যাব-11-তে 3টি ও র্যাব-12-তে 9টি ত্রক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। র্যাব-6 খুলনা এলাকা নিয়ে গঠিত। এ এলাকায় ত্রক্রসফায়ারের সংখ্যা সর্বাধিক, 78টি। র্যাব সহৃত্রে জানা গেছে, ত্রক্রসফায়ার নিয়ে র্যাব এখন আর কোনো আইনি জটিলতার চিনস্না করছে না। সব ত্রক্রসফায়ারেরই যথার্থতা প্রতিপল্পম্ন হওয়ার পথে।

তবে র্যাবের কার্যক্ষমতা, ত্রক্রসফায়ারের প্রত্রিক্রয়া ও অন্যান্য এখতিয়ার নিয়ে দেশের বিভিল্পম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে মোট 145টি রিট ও মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই 45টি রিট ও মামলা নিষঙ্ত্তি করা হয়েছে। র্যাব সদর দফতরের আইন কর্মকর্তারা এখন নিষঙ্ত্তি না হওয়া রিট মামলা নিয়ে ব্যস্টস্ন আছেন। তাদের টার্গেট, যত দ্রুত সল্ফ্ভব এগুলো নিষঙ্ত্তি করে ফেলা। Collected:Somokal


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.