বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
জনগণ এখন রাজসম্পওির হিসেব চেয়ে 238 বছরের রাজতন্ত্রের ইতিহাসকে নতুন করে পাল্টে দিতে যাচ্ছে নেপালে। স্বনামে আর অন্য নামে নেপালের রাজপরিবার বিশাল পরিমাণের অর্থসম্পদ আত্মসাৎ করে রেখেছে। এধরণের হিসেব কিছুটা পএিকার পাতায় আসলেও এর কোন সরকারী ভাষ্য নেই। তাই নেপালের সংসদীয় কমিটি এধরণের হিসেব দেওয়ার জন্য সরকারকে পনের দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে (টাইমস অব ইন্ডিয়া, জুন 30, 2006)। অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই বাংলাদেশে বিরোধী দলের উপনেতা আব্দুল হামিদ সংসদে একই দাবী করেছেন জুনের 28 তারিখে।
তিনি 1971 সাল থেকে এখন পর্যন্ত সকল রাজনীতিবিদ ও তাদের পরিবারবর্গের সকল স্থাবর-অস্থাবার সম্পওির হিসেব দাবী করেছেন। দাবীটি খুবই যুক্তিযুক্ত যেখানে ক্ষমতার হালুয়া রুটির জন্য রাজনীতিবিদদের চেস্টা তদবিরের অন্ত নেই।
বিরোধী দলের উপনেতা আবারও দাবী করেন যে, 1971 সাল থেকে সকল নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ ও তাদের পরিবারের সকল সদস্যের সম্পওির হিসেব। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা এখন মার্সিডিজ বেঞ্জ, লেক্সাস আর বিএমডাবি্ল্লইউ চালায় যেখানে একসময় অনেক রাজনীতিবিদরাই রিকশাতে বা সাধারণ গাড়ীতে চলাফেরা করতো। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের টিভি চ্যানেলের মালিক হওয়ার মধ্যে কোন সমস্যা নেই, সমস্যা হচ্ছে যখন জনগণ জানতে পারে না এই বিশাল সম্পওির উৎস (ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, জুন 29, 2006)।
বিরোধী দলের এই দাবীর প্রতু্যওরে একমত পোষণ করেন সরকার দলীয় নেতা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া (সমকাল, জুলাই 2, 2006)। প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কি রাজনীতিবিদরা তাদের আর্থিক হিসেব জনগণকে দিবেন?
বিশ্বের সেরা দূনর্ীতিপরায়ণ দেশ হিসেবে আমাদের নাম কি আদৌ ঘুচানো সম্ভব হবে? রাজনীতিবিদরা কি দেবেন তাদের টাকা পয়সার হিসেব? তারা কি জানাবেন, তারা আদৌ কোন আয়কর দেন কি না? দিলে তাদের আয়করের পরিমাণ কতো? তারা কি ব্যাংকে ঋণখেলাপী? এধরণের দাবী নিয়ে আড্ডার পাতায় ফেব্রুয়ারীর 13 তারিখে লিখেছিলাম, "নিরপেক্ষতা না স্বচ্ছতা"। দেখা যাক, নেপালে রাজসম্পওির হিসেব কতটুকু আসে? কারণ, গণতন্ত্রের খোলসের আড়ালে এদেশের রাজনীতিবিদদের অনেকেই যে টাকার পাহাড় তুলেছেন তার পরিমাণটাও কিন্তু সামান্য নয়। তাই সংসদে এধরণের দাবী খুব জনপ্রিয় ও বেশ নাটকীয়। হয়তো এরকম নাটকীয় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলতে থাকবে যার মাঝে সাধারণ মানুষ হিমসিম খেয়েই যাবে তাদের নিজেদের আয় ব্যয়ের হিসেব মেলাতে।
এধরণের অসংগতি আর বিড়ম্বনার চিএ সত্যি কি আমাদের ইতিহাসের সাথে অবিচ্ছিন্ন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।