দ্য ওয়ে আই ফিল ইট...
হাহ্! অল কোয়াইট অন দ্য আর্জেন্টিনিয়ার্স ফ্রন্ট!
কাল মধ্যরাতে যখন অফিস ছাড়ছি, প্রিয় খেলোয়াড় রিকেলমে তখন বিরাট প্ল্লাজমা স্ক্রিনে জার্সিতে মুখ মুছছে। নাম্বার টেন আর্জেন্টিনিয়ান জার্সিহোলডার। বিদায় বার্লিন। বিদায় বিশ্বকাপ। জার্মান মাঠের মধ্যমনি বালাককে দেখলাম- রিয়াল হিরো।
বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট দৃঢ় তার চোয়াল। অদ্ভুত!
আমি আর্জেন্টিনিয়ান। জাতে নয়, সমর্থনে। বিশ্বকাপের সোনালি-সবুজ ঝলকানি আমার কাছে অর্থহীন হয়ে গেল- ফর ফোর মোর ইয়ার্স। খেলা আরো দেখবো, দেখতে হবে।
তবে পরিশ্রান্ত দিন শেষে বার্লিন-মিউনিখের চেয়ে শক্ত বিছানাটাকেই প্রিয় মনে হবে হয়তো। স্কোরার নয়, প্লে-মেকারদের দিকেই বেশি তাকিয়েছি সবসময়। রোনালদিনহোর একটা সমব্রেইরা দেখার তৃষ্ণা এখনও মিটলনা। আরেক প্রিয় খেলোয়ার জিদানের কিছু কারুকাজ অবশ্য আধা-তৃপ্তি নিয়ে দেখেছি। ধারালো চোখ ছাড়া সেগুলি অন্যদের চোখে পড়বে কম।
বেকহ্যামের ফ্রি-কিকটা, ফিগোর নড়াচড়াগুলোও নট ব্যাড। অপেক্ষাকৃত লেস-ফেমাস দ্রগবার কথাও নির্ঘাত মনে থাকবে আরো কিছুকাল। তবে রিকেলমের পার্ফরমেন্সে কেমন তৃপ্তি পাচ্ছিলাম সত্যি। এতদিনে দলের খেলা সাঙ্গ হলো। দেখার যেটুকু বাকি, সেতো ব্যক্তি-কারুকাজ।
জার্মান গোলকিপার অবশ্য আমার রক্তাক্ত হওয়ার প্রধান কারণ নয়। অন্য টাইব্রেকারে আগেই হেরে বসেছিলাম আমি। সারাদিনই রক্তাক্ত ছিলাম। অন্য কারণে। ক্রমাগত রক্তাক্ত হওয়ার কষ্ট নিয়ে অনুভব করেছি আমার খুব খুব খুব প্রিয় একজন, অন্তহীন সমুদ্রের বেলাভূমি ধরে হাঁটতে হাঁটতে দূরে চলে যাচ্ছে।
দূ...রে। অনেক অনেক দূরে। তার সুখ-চিন্তার কারণেই চিৎকার করে ডাকতে পারছিনা তাকে। সে অবশ্য জানে দুটো ভেজা চোখ তার প্রতিটি পদশব্দ গুনে চলেছে.. এক.. দুই.. তিন..
তাকে যেতে দাও!
উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ছুঁয়ে তাকে যেতে দাও
অন্তহীন সুন্দরের পথে
সুখদ কুয়াশা ঝরুক ওর দু্থটি পায়
চেতনা ছড়িয়ে যাক নীলাচলে বহুদুর
কালো চোখে ওর নিষিদ্ধ হোক
দুঃস্বপ্নের যাতায়াত, অশ্রু হোক দেশান্তরী
জুড়িয়ে যাক চিরতরে-
পিছু ফেলে আসা
দুটি অনাবশ্যক ভেজা চোখের বিষাদ-গাঁথা
নিসপ্রভ বিকালে এ আমার একান্ত প্রার্থনা...
প্রভু হে! দেখো চেয়ে
পড়ে র্থলো রক্তাক্ত-পাপিষ্ঠ হৃদয় আমার
একাকি অন্ধকারে
তোমার করুণামাখা দৃষ্টির অপেক্ষায়
আমায় ক্ষমা করো প্রভু!
এখন? এতসব ভুলবে কি করে তুমি বৃশ্চিক? এক কাজ করো। আরলি অফিস যাও।
ফাহিম ভাই, সাদাত, মিরাজদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দাও। বারতি চিনির চায়ে ঠোঁট দিতে দিতে নিজেকে ধোঁকা দাও- ভুলে গেছো সমস্ত অতীত, ঘোলাটে সময়। বাসায় ফিরে রিডার্স ডাইজেস্ট, যায়যায়দিন উল্টাও। সুমন চাটুয্যেকে জ্বালিয়ে মারো। দুবেলা আকাশ দেখো নিয়ম করে।
দেখবে অল সেট। তবে মাইরি, বেসিনে লুকিয়ে চোখে পানি দেয়ার গল্পগুলো কাউকে বলোনা খবরদার!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।