নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
আমি মুর্খ মানুষ, এতো জটিল কথা বুঝিনা। কিন্তু এই অল্প বয়সে যেটুকু দেখে শিখেছি তা হলো বাংলাদেশের স্বাধিনতা হলো আওয়ামীলীগের পৈত্রিক সম্পত্তি। বিএনপি রাজাকার ঘেষা আর জামায়াত তো ফূল রাজাকার। মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু আওয়ামীলীগ করতে হবে না হলে তারা রাজাকার হয়ে যাবে। যারা 71 এ মুক্তিযুদ্ধ করছে পরে জামায়াতে গেছে তারাও রাজাকার।
পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিবাহিনী তাদের স্বায়ত্বশাসনের জন্য আন্দোলন করছে। আমাদের চোখে তারা বিচ্ছিন্নবাদী আর তাদের ভেতরে থেকে তাদের কর্মকান্ড যারা সমর্থন করছেনা তারা রাজাকার।
রাজাকার বা মুক্তিযোদ্ধা খুবই গুরুত্বপুর্ন বিষয় কিন্তু তার থেকেও বেশি গুরুত্বপুর্ন কে দেশের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। 71 এর মুক্তিযোদ্ধা যদি এখন চোরাকারবারী হয় তাহলে তাকে কি করবেন তার জেনারেশনকে কি করবেন? আপনার চারপাশে এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে।
আয়ুব খানের আর পাকিস্তানের বন্দনায় পঞ্চমুখ ছিলেন কবি শামসুর রাহমান এবং সুফিয়া কামাল।
তারা এখন ভোল পাল্টে হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের পরে শক্তি আর কবি আল মাহমুদ যিনি একমাত্র কবি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি জামায়াত সমর্থনের কারনে হয়েছেন রাজাকার। মতিয়া চৌধুরি বঙ্গবন্ধুর ছবি পা দিয়ে পিশেছিলেন। উনি এখন শেখ হাসিনার কাছের লোক।
এভাবে বিভাজন করছি কিন্তু দেশের জন্য কি করছি? বিজয় সরনীর মোড়ে আমি মুক্তিযোদ্ধাকে কলা বিক্রিকরতে দেখেছি যিনি জীবন ধারনে এছাড়া আর কিছু করতে পারছেন না। হানিফ সংকেতের ইত্যাদিতে দেখেছি মুক্তিযোদ্ধার বেচে থাকার সংগ্রাম।
এদের জন্য কে কি করছে? যারা স্বাধিনতা মুক্তিযুদ্ধ বলে বলে সারাদিন জিগির তুলছেন মুক্তিযুদ্ধ আপনাদের এতোই যদি নিজেদের সম্পত্তি মনে করেন তাহলে এইসব যোদ্ধারা কেন না খেয়ে থাকে আর আপনারা কেন প্রাসাদে থাকেন? তারা কেন দুমুঠো খাবারের জন্য রিকসা চালায় অনেকে ভিা করে আর আপনারা মুক্তি যুদ্ধের নামে গলাবাজি করেন। রাজাকারদের নোংরা ভাষায় গালি দিলেই মুক্তিযুদ্ধের বড় সমর্থক হওয়া যায়না যদিও সস্তা বাহবা পাওয়া যায়। আজকে আওয়ামীলীগে রাজাকার, বিএনপিতে রাজাকার, জাতিয়পার্টিতে রাজাকার। এরা সবাই মুক্তযুদ্ধের সাইনবোর্ডধারী দল। অথচ স্বার্থের কারনে এরাই আবার রাজাকারের লেজুরবৃত্তি করে।
দেশের স্বার্থে দেশের মঙ্গলের স্বার্থে এইসব সুবিধাবাদী গোষ্ঠিকে চিহ্নিত করে এদের নির্মুল করুন সবার আগে।
কিছু হলেই 71 এর কাহিনী তুলে চিৎকার করেন চেচামেচি করেন কিন্ত আজ পর্যন্ত কোন দলকে দেশের জাতিয় স্বার্থে এক সুরে কথা বলতে দেখিনি। একজন আরেক জনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই খালাস। বিদেশী দামী গাড়ী ট্যাঙ্ ফ্রি আনতে তো কোন সাংসদকে প্রতিবাদ করতে দেখিনি বরং তখন বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতিয় পার্টি জামায়াত একই সুরে কথা বলে।
এই ভন্ডামী আর কতকাল?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।