দুনিয়াজুড়েই বিভিন্ন দেশে ট্যাটুর প্রচলন রয়েছে। জাপান, উত্তর আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, তুরস্ক, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে শরীরে ট্যাটু আকার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু এই ট্যাটু ডেকে আনতে পারে মৃত্যুকে। বিজ্ঞানীদের শাশঙ্কা ট্যাটুতে ব্যবহৃত কালি রক্তের সাথে মিশে ক্যান্সারের জন্ম দিতে। ট্যাটুর কালিতে থাকা বিষাক্ত পদার্থ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন রক্তপ্রবাহের মধ্যে মিশে যাওয়া কালির বিষাক্ততা মানবদেহে কিডনির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত করে। ইংল্যান্ডের পাবলিক হেল্থ জানিয়েছে কোন কোন কালিতে কোবাল্ট ও পারদের মত ধাতু পাওয়া গেছে।
ব্রাডফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর স্কিন সাইন্সের পরিচালক ডেসমন্ড টোবিন সানডে টাইমসকে বলেন, ট্যাটুর কালির ব্যাপারে কোন নিয়মকানুন নেই জেনে তিনি রীতিমতো স্তম্ভিত। প্রাপ্তবয়স্ক ২০ শতাংশ বৃটিশদের শরীরে ট্যাটু রয়েছে। গত মাসে ট্যাটু ইন্ডাস্ট্রির জন্য পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড নতুন নিয়ম কানুন প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ট্যাটু কাজে ব্যবহৃত যেসব কালি বেচাকেনা হয় যেগুলোতে অনেক সময় দেখা যায় ওই প্রডাক্ট সম্পর্কে কোন তথ্যই উল্লেখ থাকে না। গবেষকরা লাল কালির মধ্যে পারদ এবং নীল ও সবুজ কালির মধ্যে কোবাল্ট শনাক্ত করেছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।