আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বামফ্রন্টের সমালোচনায় তসলিমা

ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী শক্তি সবসময়ই সমাজকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর মতে এইসমস্ত মৌলবাদীদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিলে একদিন তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করবে। এই ধরনের সহিংসতাকে প্রশয় দিলে সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন।

তাঁকে কেন্দ্র করে ২০০৭ সালে কলকাতায় সংগঠিত সংঘর্ষের কান্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জারি থাকা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই এই মন্তব্য করেন তসলিমা। সোমবার একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে (নিউজ এক্স) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তসলিমা পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তসলিমা বলেন, সরকারের কোন অধিকারই ছিল না আমাকে ওভাবে কলকাতা থেকে বিতাড়িত করা।

২০০৩ সালে তাঁর লেখা বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে বলেও মন্তব্য এই লেখিকার। নানারকম ভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। ব্যক্তিগত ভাবেও আক্রমণ করা হয় তাঁকে। বুদ্ধিজীবী মহল আশ্চর্যজনক ভাবে নিশ্চুপ আছে বলেও তাঁর মন্তব্য। এই ঘটনায় তাদের সরব হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, তসলিমা নাসরিনের ভিসা বাতিল এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁকে বিতাড়নের দাবিতে ২০০৭ সালে ২১ নভেম্বর রাজ্য অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল দুইটি সংখ্যালঘু সমপ্রদায়। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাঙচুর হত্, আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, আক্রান্ত হয় পুলিশও। সেদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কলকাতার পার্ক সার্কাস, রিপন স্ট্রিট, মৌলালি, কড়েয়া সহ মুসলিম অধ্যাষিত এলাকায় তান্ডব চলেছিল। সাধারন মানুষ সহ ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কলকাতার পুলিশের তৎকালীন ডিসি (সাউথ) সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকাতার রাজপথে সেনাবাহিনীকেও নামানো হয়েছিল।

যদিও ওই ঘটনারপরই কলকাতা পুলিশ অত্যন্ত গোপনে তসলিমাকে রাজ্যের বাইরে সরিয়ে দেয়।

এরপর ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। চার্জশিট দেওয়া হয় ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইদ্রিশ আলিসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে। গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের উকিল (কলকাতা ইনচার্জ) প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। ওই দিন শুনানির পর নবম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মা মাটি মানুষ চায়না যে, রাজ্যের কোন ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোন মামলার সঙ্গে জড়িয়ে যাক। ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে যারা কাজ করতে চায়, তারা যদি কোন অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত না থাকে তবে আমরা তাদের মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।