চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মালিতাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ইজাল উদ্দিন (৫৫), আম্বিয়া খাতুন (৪০), আবদুল লতিফ (৪২), রানা হোসেন (১৮) দেলোয়ার হোসেন (৩০), বিল্লাল হোসেন (৪০), নিজাম উদ্দিন (৫২), খোকন (২৮), হোসনে আরা (৩৫) ও হাসান (১০)। তাঁরা সবাই বেলগাছি মালিতাপাড়ার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকি পাঁচজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, কারও পা আবার কারও পিঠ বোমার আঘাতে ঝলসে গেছে। আহত ব্যক্তিদের শরীরে অসংখ্য বোমার স্প্লিন্টার আছে। এগুলো বের করতে চিকিত্সকদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক সউদ কবীর মালিক প্রথম আলো ডটকমকে জানান, সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন পাঁচজনই শঙ্কামুক্ত।
আহত ইজাল উদ্দিনের ছেলে বিদ্যুত্ হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে গ্রামের লালনের দোকানে বসেছিলাম। এ সময় রমজান আলীর ছেলে সন্ত্রাসী তোরাব আলী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা হাতে ধাওয়া করে। প্রাণভয়ে আমি পালাই। খবর পেয়ে আমার বাবাসহ প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে তাঁদের ওপর একটি বোমা ছোড়া হয়। এতে ১০ জন আহত হয়।
’
বোমা হামলার কারণ সম্বন্ধে জানতে চাইলে বিদ্যুত্ বলেন, তাঁর বন্ধু খোকনের সঙ্গে তোরাবের বিরোধের জের ধরে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে রাত নয়টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনাস্থল থেকে আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, সোমবার রাতে গ্রামে তাস খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের বিরোধ হয়। এর জের ধরে এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বোমা হামলাকারী তোরাব হোসেন ওরফে তুরাল ডাকাত পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার নামে অসংখ্য অভিযোগ আছে।
’
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।