কবঠ
হয় আমরা মগের মুল্লুকে বাস করছি, নয়তো কেউ আমাদের ইচ্ছা করে ভুল পথের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কোনটা ঠিক, তা জানাবার দ্বায়িত্বটা আসলে কার? সরকার এমন একটি অসম চুক্তি করবে কিভাবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্রাইটেরিয়া আমাদের রাষ্ট্রে বিদ্যমান তা সত্তেও এমন গাজাখোরি গপ্প কিভাবে র্মাকেটে ছড়াচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন? আমাদের সংসদ আছে। সংসদে আছেন বাঘা বাঘা সংসদ, তাদের চুদুর বুদুর ও চুৎমারানী শব্দবানে আমাদের অস্থির থাকতে হয় সবসময়, তাদের সবার দৃষ্টি এড়িয়ে এজাতীয় ধ্বংশাত্বক একটি চুক্তি কিভাবে সংসদ অনুমোদন দিল সেটাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। একটি দেশের চাহিদা অনুযায়ী বনভুমি আমাদের নেই। সেটা আমরা কমবেশী সবাই জানি।
সরকারের কর্তাব্যাক্তিরা জানেন না। সেটা কি করে হয়। সরকার কিছুই বলছেন না। তারা এমনভাবে মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন যে, দেশে এই প্রকল্প নিয়ে যেন কোন অসন্তোষ নেই। বিরোধী দলও তথৈবচ।
এখানে পুরো বিষয়টিই লেজে গুবরে অবস্থায় একটি জটিল রুপ ধারন করেছে। যারা দ্বায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন তারা কিচ্ছুটি দেখতে বা বুঝতে পারছেন না। আর যারা এর ধারে কাছেও যেতে পারছেন না, তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা লং মার্চের মতো কর্মসুচী নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
সরকারকে এ বিষয়ে মুখ খুলতেই হবে।
তাদের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসুচী থেকে সরকারের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবাই বিশেষ সুবিধা আদায়ের পরেই প্রকল্পটি মুলত আলোর মুখ দেখে থাকে। এটাই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির বাস্তবতা। জনগন এগুলি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলেই জনগন খুশি।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগে কি এখন এমন একজন দেশপ্রেমিক নেতাও নেই যে, তিনি দলটির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরতে পরেন। ব্যাক্তি সার্থ কি এতোটাই বড় যে, জাতীর এতবড় ক্ষতি হবে জেনেও চুপ করে থাকতে হবে তাদেরকে। মহাজোটে যারা আছেন তারা সবাই কিভাবে র্নিবিবাদে এসব মেনে নিচ্ছেন। তারা কি জেনে বুঝে কাউকে খুশি করার মনোভাব পোষন করছেন না তারা জানেন আনু মোহাম্মদগংরা যা বলছেন তা পুরোটাই ধাপ্পাবাজি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলেই সেই ধাপ্পাবাজি জনগনের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে।
যদি তেল, গ্যাস ও কয়লা জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটির অবিযোগটি সত্য হয়, তাহলে অনতিবিলম্বে এই প্রকল্পটি বাতিল করা হোক।
আর সরকার যদি মনে করেন যে আনু মোহাম্মদগংরা যা বলছেন তা অতিশয় উক্তি। তাহলে সেটা প্রমান করেই সরকারকে কাজটি এগিয়ে নিতে হবে। রাষ্ট্রের কাছে আবেগের কোন মুল্য নেই। আমরাও চাই দেশ উন্নতি করুক কিন্তু এজাতীয় প্রশ্নবোধক উন্নয়ন কারো কাম্য হতে পারে না। তেল, গ্যাস ও কয়লা জাতীয় সম্পদ রক্ষার নামে দেশের ক্ষতি যেমন করো কাম্য নয় ঠিক তেম্নি এর যথাযথ ব্যাবহার মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।