পশ্চিমবঙ্গের বাজারে নিজেদের বইয়ের বিপণনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী লেখকদের নিজেদেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। এক্ষেত্রে কোন দেশের সরকারের পক্ষেও কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আটর্স-এ আয়োজিত 'মৈত্রীর জন্য বই' শীর্ষক একটি আলোচনার ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথা বলেন।
'এপার বাংলায় বাংলাদেশী লেখক-সাহিত্যিকদের বই কেন সহজলভ্য নয়?' এই প্রশ্নের উত্তরে সমরেশ মজুমদার বলেন, এটা ঠিক যে বাংলাদেশের বই কলকাতা তথা এ রাজ্যে তেমনভাবে পাওয়া যায় না, কিন্তু এতে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। সরকার কাউকে কোনও বই কিনতে বাধ্য করতে পারে না।
এটা বাংলাদেশের লেখকদেরই দায়িত্ব। এপার বাংলার লেখকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তো আমাদের কোনও বই বাংলাদেশে প্রমোট করিনি। বাংলাদেশ সরকারও তো বলেনি আমাদের বই ওই দেশে নিয়ে যেতে। পাঠক নিজেদের পছন্দের বই পড়বে। তাদেরকে কেউ বলতে পারে না যে এই বইটা কেন পড় ? আর বললেও সে শুনবে না।
ওপার বাংলার বিশিষ্ট লেখক বেলাল চেৌধুরী এপার বাংলায় বাংলাদেশি লেখকদের বই না আসায় বইয়ের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক মারপ্যাঁচকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের লেখকরা এখানে যথেষ্ঠ সুপরিচিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি ইমদাদুল হক মিলনের নাম করেন। কিন্তু প্রকাশক সংস্থার (পশ্চিমবঙ্গ) লোকেদের মধ্যে বিশেষ করে একটা গোলমাল আছে। যে কারণেই বাংলাদেশের প্রচুর বই ঠিকমতো এখানে পাওয়া যায় না।
বেলাল চৌধুরীর অভিযোগ আমাদের দেশে যে বই লেখা হয় সেগুলি তারা (পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনা সংস্থা) আমদানি করে না। কিন্তু কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স-এর প্রচুর বই বাংলাদেশে যাচ্ছে। ওরা কোনও কমিশন পর্যন্ত দেয় না অথচ তাদের বই প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এজন্য সরকারী বাধাও কিছুটা দায়ী বলে তার মত। যদিও সব বাধা কাটিয়ে দুই বাংলার তরফেই চেষ্টা হচ্ছে যে একটা সমতার ভিত্তিতে বইয়ের আদান-প্রদান হোক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।