অবশেষে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি মিলল তাপস-শতাব্দীর। চলচ্চিত তারকা দুই এমপি'র প্রতি বেশ সদয়ও হলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, ভাগ্য সহায় হল না কুনালের। দল থেকে বহিস্কারের চিঠিটি তাকে পেতেই হল। তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শনিবার কুনালের অনির্দিষ্টকালের সাসপেণ্ডের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জনান, ওই দিনের পর তাপস-শতাব্দী প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। পাশাপশি রক্তদান শিবিরে তাঁরা যা বলেছিলেন, সে জন্য দুঃখপ্রকাশ করে সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লিখেছেন। তাপস-শতাব্দী দলনেত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁরা অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও কাজের সঙ্গে ভবিষ্যতে তাঁরা যুক্ত থাকবেন না।
কিন্তু, কুণাল দলনেত্রীকে চিঠি দেওয়া বা শো-কজের জবাব দেওয়াতো দূরের কথা, উল্টো ২০ তারিখের পরেও মুখ বন্ধ না করে একটার পর একটা দলবিরোধী মন্তব্য করে গেছেন।
শাস্তির কথা জেনে কুণালের মন্তব্য, বিচার না করেই দল তাকে শাস্তি দিয়েছে। দলকে হেয় বা অসম্মান করে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মধ্য কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে কুণাল, তাপস ও শতাব্দীকে শো-কজ করে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ২০ তারিখ তাপস-শতাব্দী দল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু কুণালের মতো এত কড়া ভাষায় আক্রমণ করেননি।
তবে তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশের অভিমত, সোমবারের সভার আগে কুণালকে সাসপেন্ড করার অর্থ, তিনি যাতে ওই সভায় যেতে না পারেন। অন্য একটি অংশের বক্তব্য, কুণালের এমনিতেই যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না। কারণ, তিনি আমন্ত্রিতই ছিলেন না। শুধু ওই সভা কেন, সাসপেন্ড হওয়ার ফলে তিনি এখন দলের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই অংশ নিতে পারবেন না।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।