গল্পটি সারা আদিল মাহমুদ (ইয়েমেন) এর ‘আল ওয়ারদাতুল বাকিয়াহ ’ এর অনুবাদ।
একটি শান্তিপূর্ণ ছোট শহর। আছে একটি বাগান। যেখানে শিশুরা খেলা করত। বাগানটির নাম ফরহান চাচার বাগান।
বাগান ভর্তি ছিল সুন্দর সুন্দর গোলাপ, ভিন্ন প্রকারের ঘ্রাণযোক্ত ফুল, রং বেরঙ্গের পাখি এবং সতেজ হাওয়া
প্রতি দিন শিশুরা এখানে এসে খেলত। একদিন উমর নামের একটি সাত বছরের শিশু একটি গোলাপীর পাশে থেঁমে লক্ষ করল যে, সে কাঁদছে। সে তার বন্ধুদেরকে ডাকল, দেখো দেখো! গোলাপী কাঁদছে। তারা এসে তা দেখল। অত:পর চিতকার দিয়ে বলতে লাগল, ও তো সিক্ত।
অত:পর তারা চলে গেল।
উমর তাকে কাঁদার কারণ জিঙ্গাসা করলেও সে জবাব দিল না। তাই সে বাগানের মালিক ফরহান চাচাকে বলতে মনোস্থির হল। সে বাড়িতে গিয়ে দরজায় কটকটাতে লাগল।
ফরহান চাচা: কে কটকটাচ্ছো?
উমর: আমি উমর।
ফরহান চাচা দরজা খুলে হাসি মুখে বললেন, ওখানে কী হয়েছে উমর?
উমর: ওখানে একটি গোলাপী কাঁদছে।
ফরহান চাচা: আশ্চর্য!
উমর: আসুন, দেখুন!
ফরহান চাচা: ঠিকাছে, চলো!
তারা গোলাপীর কাছে পৌছার পর ফরহান চাচা তাকে জিঙ্গাসা করলেন, কেন কাঁদছো গোলপী ? গোলাপী চিন্তিত অবস্থায় বলল, আমি গোলাপী ছিলাম না। আমি এক ছোট শিশু। আমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করতাম না। আমি না হাত ধুয়ে খাবার খেতাম।
না দাঁত পরিষ্কার করতাম, না গোসল করতাম। আমার পোষাক থাকত সর্বদা অপরিচ্ছন্ন।
তাই একদিন স্বাস্থ্য রাণী এসে আমাকে একটি রুদিতা গোলাপীতে রূপান্তরিত করে দিলেন এবং বললেন, যখন তুমি পরিচ্ছন্নতাকে পছন্দ করবে তখন তোমার আকৃতি ফিরিয়ে দেব।
ফরহান চাচা বললেন, চিন্তা করো না! আমি তাকে গিয়ে তোমার পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করার খবর পৌছাব।
ফরহান চাচা গিয়ে স্বাস্থ্য রাণীকে খবর দিলেন যে, ক্রন্দিত গোলাপী লজ্জিত হয়েছে এবং সে এখন পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে।
তখন রাণী চাচাকে একটু পানি দিয়ে বললেন, ইহা ওকে পান করিয়ে দিবে। দেখবে, সে আবার সুন্দর শিশু হয়ে যাবে।
ফরহান চাচা আর উমর পানি নিয়ে এসে তাকে পান করালেন। তখন সে আবার এক সুন্দর ছোট শিশু হয়ে গেল এবং সে ফরহান চাচা এবং উমরের শুকরিয়া জ্ঞাপন করল। অত:পর তার আব্বা আম্মার কাছে গিয়ে সমস্ত ঘটনা বলল।
তারা সবাই খুব খুশি হল এবং সেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে পছন্দ করতে লাগল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।