রাজধানীর চাঁনখার পুলে কাজী অফিসের ভেতরে শারমিন আখতার আঁখি নামের ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী এসিডদগ্ধ হয়েছেন। আঁখিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর এসিড নিক্ষেপ করেন তাকে জোর করে বিয়ে করতে চাওয়া মনির উদ্দিন নামের এক যুবক ও তার সহযোগী মাসুম।
এসিডে সারা শরীর ঝলসানো অবস্থায় আঁখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কায়েতটুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিএসআই শাহাবুদ্দিন খবর পেয়ে আঁখিকে এসিডদগ্ধ অবস্থায় কাজী অফিসের নিচতলা থেকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
টিএসআই শাহাবুদ্দিন জানান, এসিডদগ্ধ ছাত্রী শারমিন আখতার আঁখি জানিয়েছেন, মনির উদ্দিন নামের এক যুবক তাকে জোর করে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মনির ও তার সহযোগী মাসুম কাজী অফিসের ভেতরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর সারা শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন।
আঁখি নগরীর সার্কিট হাউজের অফিসার্স কোয়ার্টারে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে।
বংশাল থানার এএসআই বিশ্বজিৎ সূত্রধর বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমি থানা থেকে সংবাদ পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে আসি। মনির উদ্দীন নামক এক যুবক ও সহযোগী মাসুম তাকে কাজী অফিসের ভেতরে কোপানোর পর এসিড নিক্ষেপ করেছেন বলে আঁখি নিজেই জানিয়েছেন। ছাত্রীটি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার সারা শরীর এসিডে ঝলসানো। ’’
আঁখিকে এসিড নিক্ষেপকারীদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি বলেও তিনি জানান।
মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।