আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্যাব্রিগাসের গোলে জয় বার্সার

সেল্টিককে ১-০ গোলে হারিয়ে ১০ মাস আগের পরাজয়ের প্রতিশোধটা আদায় করে নিয়েছে বার্সেলোনা। খেলার ৭৬ মিনিটে সেস ফ্যাব্রিগাসের গোল খেলার ফলাফল নির্ধারণী হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ৫৯ মিনিটে সেল্টিক অধিনায়ক স্কট ব্রাউনের পাগলামিও খেলার ফল-নির্ধারণী অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতে বাধ্য। বার্সেলোনার ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমারকে পেছন থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দিয়ে ব্রাউন লালকার্ড দেখলে বাকি সময়টা দশজন নিয়েই খেলতে হয় স্কটিশ ক্লাবটিকে। তবে দশজনী দলের বিপক্ষে বার্সেলোনার কালকের পারফরম্যান্স মোটেও আহামরি বলা যাবে না।


ব্রাউনের লালকার্ড নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। অনেকেই বলছেন, ব্রাউন নেইমারকে এমন কিছু করেননি যে তাঁকে লালকার্ড দেখতে হবে। আবার অনেকেরই মত, ব্রাউন ইচ্ছা করেই নেইমারের গতি ঠেকাতে তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছেন। এরপর মাটিতে পড়ে যাওয়া নেইমারকে তিনি ছোট্ট একটা লাথিও দিয়েছেন। ব্যাপারটি নিয়ে সেল্টিক কোচ নেইল লেননের কণ্ঠেও ঝরেছে ক্ষোভ, ‘নেইমারকে ব্রাউন ইচ্ছা করে লাথি মেরেছে কথাটা ভুল।

ব্রাউনের পা যদি নেইমারের গায়ে লেগেও থাকে তাহলে তা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত। এতে সরাসরি লালকার্ড হতে পারে না। তা ছাড়া নেইমারকে আটকাতেও সে কোনো বেআইনি কিছু করেনি। ’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তে পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে। বার্সেলোনার মতো দলের বিপক্ষে দশজনে খেলাটা মোটেও সোজা কাজ নয়।

অথচ ব্রাউনের লালকার্ডের আগে আমরা খুব ভালোভাবেই ম্যাচে ছিলাম। তবে বার্সেলোনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো মনে করেন ব্রাউনকে লালকার্ড দেখানো সঠিক সিদ্ধান্ত।
কাল বার্সার হয়ে মাঠে ছিলেন না লিওনেল মেসি। চোট তাঁকে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে নিয়ে গেছে। ছিলেন না হাভিয়ের মাচেরানো, জরদি আলবা।

কোচ মার্টিনো নির্ভরশীল ছিলেন নেইমার, ফ্যাব্রিগাস আর পেদ্রো রদ্রিগুয়েজের ওপর। জাভি, ইনিয়েস্তা মাঠে থাকলেও মেসির অভাবটা বেশ ভালোভাবেই অনুভূত হচ্ছিল। তবে নেইমার, ফ্যাব্রিগাস সেই অভাবটা আড়াল করতে পুরো ম্যাচেই যথাসাধ্য চেষ্টা করে গেছেন।

ম্যাচের প্রথমার্ধে বলের দখল পুরোপুরিই ছিল বার্সার কাছে। তবে সেই অনুযায়ী গোলের সুযোগ তেমন একটা তৈরি করতে পারেনি কাতালানরা।

প্রথমার্ধে অবশ্য গোলের সবচেয়ে সেরা সুযোগটি পেয়েছিল সেল্টিকই। অ্যান্টনি স্টোকসের বাড়ানো থ্রু থেকে বল পেয়ে জর্জিওস সামারাসের শট বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস কোনোমতে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। ৪১ মিনিটে অবশ্য দানি আলভেসের পাস থেকে সেল্টিকের গোলপোস্টের বাইরে মারেন নেইমার।

৫৯ মিনিটে লালকার্ড দেখেন স্কট ব্রাউন। বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় নেইমার পড়ে যান পেছনে থাকা ব্রাউনের সঙ্গে বাড়ি খেয়ে।

নেইমার মাটিতে পড়ার পর পেছন থেকে আগুয়ান ব্রাউন তাঁর কোমরে ছোট একটা লাথি মেরেছেন—এই অভিযোগেই তাঁকে লালকার্ড দেখানো হয়। সেল্টিক খেলোয়াড়েরা অবশ্য অভিযোগ করেছেন, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর নেইমারের অভিব্যক্তিতে বিভ্রান্ত হয়েই ব্রাউনকে লালকার্ড দেখান ফরাসি রেফারি।

খেলার ৭৩ মিনিটে জেমস ফরেস্টের হাফভলি কোনোমতে ফেরান ভালদেস। এর পরপরই প্রাপ্ত কর্নার থেকে চার্লি মুলগ্রিউয়ের হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়।

৭৬ মিনিটে আলেক্সি সানচেজের ক্রস থেকে হেড করে গোল করেন ফ্যাব্রিগাস।

এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি দশজনী সেল্টিকের পক্ষে। সূত্র: রয়টার্স।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।