সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা শায়না আমিনের অভিযোগ, “নার্গিস আক্তার তার অর্ধেক পারিশ্রমিক এখনও পরিশোধ করেননি। ”
শায়নার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নার্গিস জানালেন, “শায়না ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। ”
অভিনেত্রী শায়না আমিন গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমা ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’র শুটিং এক বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী শুটিং শেষ হওয়ার পরই সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক পরিশোধ করার কথা। কিন্তু নির্মাতা নার্গিস আক্তার চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।
এক বছর ঘুরে এলেও আমি এই সিনেমার জন্য আমার পাওনা পারিশ্রমিকের অর্ধেকটা পেয়েছি। বাকিটা কবে পাব জানি না। ”
শায়না আরও বলেন, “রোজার শুরু থেকে পারিশ্রমিকের বাকি টাকা পরিশোধের জন্য ধরনা দিচ্ছি। কিন্তু নার্গিস নানা অজুহাতে আমাকে নিরাশ করছেন। সম্প্রতি খবর পেয়েছি সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা ‘এটিএন বাংলা’ থেকে পুরো টাকা তুলে নিয়ে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন।
নার্গিস আমাকে জানিয়েছেন তার পরবর্তী সিনেমার শুটিংয়ের জন্য টাকাটা খরচ করে ফেলেছেন। শেষ ফোনালাপে তিনি জানিয়েছেন, টাকাটা দিতে দেরি হবে। কিন্তু আর কত দেরি সইব আমি!”
শায়না জানালেন, এবার চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ জানাবেন তিনি।
শায়নার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালক নার্গিস আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছে গ্লিটজ। তিনি শায়নার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “শায়না আমার ভীষণ স্নেহভাজন।
শায়না এ অভিযোগ কী করে করল! এ যে ডাহা মিথ্যা! শায়না আমাকে ভুল বুঝেছে। ”
পারিশ্রমিক ইস্যুতে তিনি জানান, সিনেমার কলাকুশলীদের সঠিক সময়েই পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছেন।
অভিনেত্রী শায়নার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “পুত্র এখন পয়সাওয়ালার শুটিংয়ে প্রায়ই শিডিউল জটিলতায় ফেলেছেন শায়না। দেরি করে সেটে আসা, পরিচালককে না জানিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়া-- নানা ইস্যুতে ভোগান্তি কম হয় নাই। ”
নার্গিস জানান, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এই ইস্যুটির সমাধান করবেন।
শিগগিরি এ ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।