বর্তমানে হাড় ছিদ্র হওয়া রোগ বা অস্টিওপোরোসিসকেও এক প্রকার মরণঘাতী বলা হয়ে থাকে। এ রোগের লক্ষণে হাড়ের ব্যথা-বেদনা অনুভূত হয় এবং রোগী সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড় ছিদ্র হওয়া বা অস্টিওপোরোসিস একটি নীরব হাড় ক্ষয়রোগ। এ রোগে শরীরের হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং যে কোনো সামান্য আঘাতে ভেঙে যেতে পারে। ৩০ ভাগ মহিলা এবং ১২ ভাগ পুরুষ এ রোগে ভোগেন।
সাধারণত ৪৫ বছরের পর মহিলারা এবং ৫০ বছরের পর পুরুষরা এ রোগে ভোগেন। আগে অস্টিওপোরোসিস শুধু মহিলাদের রোগ ভাবা হতো। কার্যত ৫০ বছরের পর প্রতি চারজন পুরুষের মধ্যে একজন এ রোগে ভোগেন। অস্টিওপোরোসিসের কারণে হাড় ভাঙার প্রবণতা পুরুষের তুলনায় মহিলাদের দ্বিগুণ। ৫০ বছর বয়সে ১৫ ভাগ এবং ৮০ বছর বয়সে ৩০ ভাগ মহিলার হিপ বোন ভেঙে যায়।
২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হাড় তার পূর্ণতা লাভ করে। তারপর ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট হারাতে থাকে। তা ছাড়া মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইসট্রোজেন নামক হরমোনের অভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এ রোগ হয়। সাধারণত কোনো জায়গায় না ভাঙলে এ রোগের অস্তিত্ব বোঝা যায় না। তবে পিঠে ব্যথা, পিঠ গোলাকার হয়ে যাওয়া, শরীরের বিভিন্ন হাড় ও জোড়ায় ব্যথা, সামান্য আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া এ রোগের লক্ষণ।
এসব রোগীর ক্ষেত্রে মেনুয়াল থেরাপি, মবিলাইজেশন থেরাপি অত্যন্ত কার্যকর। তার জন্য রোগীকে দুই-তিন সপ্তাহ ক্লিনিকে ভর্তি থাকতে হয়। প্রতিদিন ক্যালসিয়াম ৫০০ থেকে ১৫০০ মি.লি. গ্রাম, ভিটামিন ডি ৪০০ থেকে ৮০০ গ্লুকোসামিনও কনদ্রোটিন সালফেট বাজার থেকেও কিনে খাওয়া যেতে পারে। তা ছাড়া প্রতিস্থাপন থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই খেতে হবে।
ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান
চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৬-৩০৬৯১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।