মাদারীপুরের ৪টি উজেলায় সমবায় অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অন্তত ৫০টি সমবায় সমিতি অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম করে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ফাঁদে পা দিয়ে জেলাবাসী ইতোমধ্যে প্রায়র১০০ কোটি টাকা খুঁইয়েছেন। গত তিনমাসে কমপক্ষে ১৪টি সমবায় সমিতি গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
জেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর মোট ৮৯৩টি নিবন্ধনকৃত সমবায় সমিতি রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতি ঢাকা থেকে নিবন্ধন নেয়া।
তবে কতগুলো সমবায় সমিতি পালিয়েছে এবং কি পরিমান টাকা নিয়ে পালিয়েছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি জেলা সমবায় অফিস।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর থেকে ৪টি প্রতিষ্ঠান, কালকিনি থেকে ৪টি, শিবচর থেকে ৩টি, রাজৈর থেকে ৩টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
তারা স্বাভাবিক ঋণদান ও সঞ্চয় সংগ্রহ করার পাশাপাশি এফ.ডি.আর, এম.আই.এস, মাসিক আমানত, স্থায়ী আমানত, পেনশন স্কীমসহ বিভিন্ন প্রকল্পে আমানত গ্রহণ করছে। তারা মাসিক মুনাফা প্রতি লাখে ২ হাজার টাকা, ৪ বছরে দ্বিগুণ ও ৭ বছরে ৩ গুণ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে কোটি কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। বিশেষ করে প্রবাসী পরিবারগুলোকে টার্গেট করে তারা এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ,ম্যাক্সিম কো-অপারেটিভ সমবায় সমিতি লিমিটেড, 'ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড জেলার ৪টি উপজেলায় শাখা খুলে গ্রাহকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। সঞ্চয় গ্রহণ ও ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি অধিক মুনাফার আশ্বাস দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত তিন মাস আগে লাপাত্তা হয়েছে। মাদারীপুর সদর, টেকেরহাট, শিবচরে শাখা খুলে বিভিন্ন প্রলোভনে পিএফসিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত দুইমাস আগে ৪০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।