আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেশকার হাটের সুদিন এখন অতীত

যৌবনে জমজমাট পেশকার হাট দেখেছি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসত কেনা-বেচা করতে। এখন এই হাটের দিকে তাকালে মন খারাপ হয়ে যায়। আনোয়ারার পেশকার হাটের কথা জানতে চাইলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কথাগুলো বলেন উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের পেশকারহাট এলাকার বৃদ্ধ মো. নুরুচ্ছাফা (৯০)।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার আট কিলোমিটার উত্তরে শিকলবাহা খালের পাশে অবস্থিত পেশকারহাটে একসময় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন কেনাকাটা করতে আসতেন।

মূলত নদীপথে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাতায়াত করতে হতো পেশকারহাট দিয়ে। এখানকার স্টিমার ঘাটে আসা লোকজন এই হাটে কেনাকাটা করতেন। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসত বাজার। তবে বাজারের দিন ছাড়াও জমজমাট থাকত হাট। কিন্তু আশির দশকে কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহআমানত সেতু হওয়ায় পেশকারহাটের গুরুত্ব কমে যায়।

ফলে জৌলুশ হারাতে বসে হাটটি।
একসময় প্রায় ২০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে পেশকার হাটে বাজার বসত। কিন্তু এখন কেবল হাতে গোনা কয়েকটি দোকান আছে এখানে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের দোকানগুলো বন্ধ। স্থানীয় কয়েকজন সেখানে জড়ো হয়ে বন্ধ দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন।


হাটে বহু বছর ধরে চা বিক্রি করছেন এনামুল হক। দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, একসময় জমজমাট থাকলেও পেশকার হাটের সুদিন আর নেই। মানুষের ভিড়ে গমগম করত বাজার। সে কথা মনে পড়লে কষ্ট বেড়ে যায়।
স্থানীয় মহতরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শরিফ প্রথম আলোকে বলেন, পেশকারহাটের জৌলুশতো নেই-ই, উল্টো পুরো এলাকাটিই এখন অবহেলিত।


চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরু বলেন, সড়ক যোগাযোগের উন্নতি হওয়ায় এ হাটের গুরুত্ব কমেছে।
ঐতিহ্যবাহী এই হাট বাঁচাতে হবে। এলাকাবাসীর দাবি, পেশকারহাট নতুন করে ইজারা দিয়ে আবার চালুর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। সড়ক ও বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হলে এই হাটে আবারও ভিড় বাড়বে।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.