আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও আদর্শ

এই মুহূর্তে আমার টেবিলে ২০০৮ সালের নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার পার্থক্য আদর্শিক। নির্বাচনী ইশতেহারে সেই আদর্শিক বহিঃপ্রকাশ থাকার কথা। বিরোধী দলের নেতা বেগম জিয়াও কায়েকবার বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে নতুন ধারার সরকার বা রাজনীতির প্রবর্তন করবেন। প্রশ্নের জন্য একটা প্রশ্ন করা যেতে পারে, এতদিন কি বেগম জিয়া বা বিএনপি পুরনো ধারার রাজনীতি করেছেন? মানুষ কি কখনো পুরনোর মধ্যে বাস করে বড় হয়?

এ কথা ঠিক, আমাদের যা ইতিহাস তা সর্ব অতীতের নির্যাস।

অতীতকে উপেক্ষা করে, অস্বীকার করে আমরা ভবিষ্যতে যেতে পারি না। এ জন্যই অতীতের মূল্যায়ন করতে হয় তার ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে অথবা জীর্ণ পুরনো যাক ভেসে যাক এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে ইতিহাস গড়তে চাই। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউ অতীতকে এভাবে মূল্যায়ন করেছে এবং তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে জাগার চেষ্টা করছে বলে আমার মনে হয় না।

আমি দুটি নির্বাচনী ইশতেহার উল্টেপাল্টে দেখছিলাম। আওয়ামী লীগ খুবই যত্ন নিয়ে এই ইশতেহার তৈরি করেছিল।

তার কাছে উপস্থিত সব ব্যক্তি মেধা, অভিজ্ঞতা ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তৈরি করেছিল ইশতেহারটি। আমি তখনো আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বে ছিলাম। সেই পরিশ্রমটি দেখেছি। আওয়ামী লীগের সামনে এটি চ্যালেঞ্জের মতো ছিল। নেতা-কর্মীদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস ছিল- উদ্যম ও আগ্রহ ছিল।

একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের স্লোগান উঠেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারাক ওবামা পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন এবং এই পরিবর্তন যে সম্ভব তাতে তার বিশ্বাসের কথা বলেছিলেন। (yes we can)। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারকে দিন বদলের সনদ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

এই দিন বদলের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত একটি রূপকথা তৈরি করেছিল। যার নাম দিয়েছিল রূপকল্প-২০২১। ইংরেজিটা জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল (Vision 2021)।

বিএনপি সে তুলনায় নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে খুব যত্ন নিয়েছিল সে কথা বলার অবকাশ নেই। রচনা এবং প্রচারে আওয়ামী লীগ যে দক্ষতা ও তৎপরতা দেখিয়েছিল বিএনপি তা দেখায়নি।

কেন তা বিএনপিই জানে। বিএনপি নেতারা বলতেই পারেন নির্বাচনী ইশতেহার দেখে কি আর মানুষ ভোট দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে লম্বা চওড়া বিতর্কে যাওয়ার অবকাশ আমার এ লেখায় নেই। কিন্তু মেনিফেস্টো বা কর্মসূচি কোনোই কাজে লাগে না তা মানতে আমি রাজি নই। ছয় দফা কর্মসূচি যে শেষ পর্যন্ত আমাদের মুক্তির সনদ হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল সেটা তো ইতিহাস।

তার মানে আমি এ কথা বলছি না যে, মানুষ নির্বাচনী ইশতেহার দেখে ভোট দিয়েছে এবং তাতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। ভোট হয়ে যাওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পরে যখন এই দুটি ইশতেহার নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছি তখন খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি এর মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য কতখানি। আগ্রহী পাঠকদের আমি এই দুটি দলের গত নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। অতীতের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু বেশ মজা। আমরা কে কেমন ছিলাম, কি কি কথা বলেছি, কি সব কাজ করেছি, আর এখন কি করছি? এই তুলনামূলক বিচার আমাদের সমৃদ্ধ করে।

রূপকল্প-২০২১ এ আওয়ামী লীগ খুব সংক্ষেপে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তার গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য তুলে ধরার পর তাদের অঙ্গীকার কর্মসূচি এবং ঘোষণা হিসেবে অগ্রাধিকারের ৫টি বিষয় তুলে ধরেছিল। তারা বলেছিল, ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই ঘোষিত ১৪ দলের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি এবং ২২ নভেম্বর গৃহীত ২৩ দফা অভিন্ন নূ্যনতম কর্মসূচির আলোকে এবং বিগত ৭ বছরের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে প্রণীত হয়েছে এই কর্মসূচি।

পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছিল আওয়ামী লীগ। ১. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ২. দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ৩. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান ৪. দারিদ্র্য বিমোচন ৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠা। বিএনপি এভাবে আলাদা করে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেনি।

কিন্তু তাদের ইশতেহারে এক নম্বর লক্ষ্য করেছে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেশের দরিদ্র জনগণের সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা। তার মানে দুটি দলই দ্রব্যমূল্য কমানোকে তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারের শীর্ষে রাখা উচিত মনে করেছে। কীভাবে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা যাবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মসূচি বা ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু উভয় দলই এ জন্য উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। সে জন্য উৎপাদক শ্রেণীকে সব রকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলেছে।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারের পরিসরে নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের চাপে দিশাহারা জনগণ অবশ্যই প্রশ্ন করতে পারে, কীভাবে তোমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবে? তোমরা তো পারছ না। এ প্রশ্নের বিস্তারিত জবাব কাগজপত্রে না দিয়ে বাস্তবে দিতে হবে। বলাবাহুল্য, নিজেদের শাসনকালে কোনো দলই তা করেনি, করতে পারেনি। নির্বাচনী ইশতেহারে যেমন এ ব্যাপারে দুই দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না, এ বিস্তারিত কৌশলপত্র রচনা করতে গেলেও দেখা যাবে তাদের মধ্যে মোটা দাগে কোনো পার্থক্য নেই।

যেসব বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদের সাহায্য তারা নেবেন তারাও শেষ পর্যন্ত বাজার মেনে চলবেন।

আমি আগেই বলেছি, বিএনপির ইশতেহারটি সেভাবে সমস্যা বা অগ্রাধিকার চিহ্নিত করে রচনা করা হয়নি। সাধারণভাবে তারা প্রায় সব সমস্যার কথা বলেছেন যেগুলো আওয়ামী লীগও বলেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের যে কথা আওয়ামী লীগ অগ্রাধিকারের দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে সেটিকে বিএনপি বলেছে তৃতীয় পয়েন্টে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই কার্যকর ব্যবস্থা কি হবে তা মাত্র সাড়ে পাঁচ লাইনে বলেছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি বলেছে সাড়ে ছয় লাইনে।

আমি আবারও মানছি এই ব্যবস্থাপত্র নিশ্চয়ই অনেক দীর্ঘ হবে। যা ইশতেহারের কলেবরে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নিশ্চয়ই একটি আদর্শিক লড়াই। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে আলাদা করে চেনা যাবে কীভাবে? নিজেদের শাসনামলে কোনো দলই দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

বরঞ্চ অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতায় থেকে এই দল দুটিই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বিষবাষ্প ঢুকিয়ে দিয়েছে। হাওয়া ভবনের কথা এখনো বাংলার আকাশে-বাতাসে। আর সজীব ওয়াজেদ জয় এসে যখন দাবি করলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি শতকরা ৫০ ভাগ কমিয়ে ফেলেছে তখন মানুষ হাসি চাপতে পারেনি। শেয়ার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের অনেক কাহিনী মানুষের মুখে মুখে পত্রিকার কাটতি বাড়াচ্ছে। দুর্নীতির রোধকল্পে সবাই একটি স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের কথা বলেছিলেন।

মজার ব্যাপার উভয় দলই গত নির্বাচনে দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছিল। অথচ আজ সবাই অবাক বিস্ময়ে দেখছেন দুর্নীতি দমন কমিশন একটি দন্তবিহীন বাঘে পরিণত হয়েছে। উভয় দলই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের বিবরণী নিয়মিত প্রকাশ করার অঙ্গীকার করেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে সেই অঙ্গীকারের প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। বিএনপিও এই বিবরণ দেয়নি কারণ তারা তো বিরোধী দলে। তারাও সরকারি দলের আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রস্তাব বেশ খানিকটা সুনির্দিষ্ট। তারা তাদের ইশতেহারে বলেছে, আগামী তিন বছরে অর্থাৎ ২০১১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫ হাজার মেগাওয়াটে, ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াটে এবং ২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে।

২০১৩ সাল শেষ হতে চলেছে। সরকার দাবি করছে তারা ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ৭ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। তারা বিদ্যুৎ খাতে অসাধারণ সাফল্য দাবি করে থাকে।

এটাকে কতখানি সাফল্য বলা যাবে সে আলোচনার অবতারণা আমি এখন করছি না কিন্তু এর জন্য যে দেশের জনগণকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা বইতে হবে সে কথাও অস্বীকার করার জো নেই। বিদ্যুতের পাশাপাশি জ্বালানির কথা যদি আলোচনা করা হয় সেখানে সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়বে। তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বক্তব্য ও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মুখে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো তা তো মাত্র তিন চার দিন আগের ঘটনা।

চার বছর মানুষ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। হাউজিং ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে।

কিন্তু বিএনপি এখানে কোনো কৃতিত্ব বা দৃষ্টান্তমূলক সমালোচনা করতে পারেনি। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ওই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে এনেছে কিন্তু খাম্বা কেলেঙ্কারির কারণে সেটা জনগ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

দারিদ্র্য ঘোচাও বৈষম্য রুখো স্লোগানটিকে যে রকম অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে এনেছে বিএনপি সেভাবে ফোকাস করে কথাটি বলেনি। কিন্তু তাদের ইশতেহারে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনার কথা, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা আছে। এর থেকে দুটি দলের কোনো আদর্শিক পার্থক্য চিহ্নিত করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ স্পষ্টভাবে বলেছে, ২০১৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্যসীমা ও চরম দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ২৫ ও ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। বর্তমানের ৬.৫ কোটি দরিদ্রের সংখ্যা ২০১৩ সালে হবে ৪.৫ কোটি এবং ২০২১ সালে হবে ২.২ কোটি। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত প্রকল্প- 'একটি বাড়ি একটি খামার', আশ্রয়ণ, গৃহায়ন, আদর্শ গ্রাম, ঘরে ফেরা বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু ক্ষমতার একেবারে শেষ প্রান্তে এসে একটি বাড়ি একটি খামারের এক শতাংশও বাস্তবায়ন হয়েছে সে দাবি আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। যে বিষয়টি আওয়ামী লীগ অগ্রাধিকারের পাঁচ নম্বরে স্থাপন করেছে পাঁচ বছরের শাসন শেষে সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা- এক দুই করে নয়টি উপ-অঙ্গীকারের কথা বলা আছে এখানে। এর মধ্যে এক রংপুর বিভাগের ঘোষণা দেওয়া ছাড়া আর কোনো ব্যাপারে তেমন কোনো সাফল্য নেই। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এই দুটি দলের কাছে বিশেষ করে সুশাসন প্রত্যাশা করে।

সুশাসন একটি আদর্শিক ব্যাপার। দুটি দলই এটি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এখানেও তাদের মিল আছে। আলোচনা এখন লম্বা করার অবকাশ নেই। তবে দুটি দল যেভাবে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হতে যাচ্ছে তাতে সুশাসন দূরের কথা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা টিকে কিনা তা-ই সন্দেহ। তখন আদর্শ থাকবে কোথায়।

লেখক : রাজনীতিক, আহ্বায়ক, নাগরিক ঐক্য।

ই-মেইল : mrmanna51@yahoo.com

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।