মানুষ খেকো গুহার সন্ধান মিলেছে। এই গুহাটি আসলে অ্যাপোলো দেবতার একটি মন্দির। মিথ নির্ভর আলোচনায় মন্দিরটি নানা কারণে রহস্যময় মন্দির হিসেবে পরিচিতি পায়। আর এ মন্দিরের পাশেই এই গুহাটি।
এ গুহার বৈশিষ্ট্য ছিল, ভেতরে কোনো জন্তু-জানোয়ার ছুঁড়ে দিলে তা আর ফিরে আসত না।
এমনকি কোনো মানুষও যদি এই গুহার প্রবেশমুখ সামান্যও অতিক্রম করত তাহলে সেও আর ফিরে আসত না।
এই অদ্ভুত ঘটনাগুলো ২০০০ বছর আগে স্ট্রাবো তার পুঁথিতে লিখেছিলেন। বেশ কিছুদিন আগেই স্ট্রাবোর পুঁথির সূত্র ধরে আমেরিকার নিউইয়র্ক কলেজের অধ্যাপক শেলডেন এমন একটি গুহা খুঁজে বের করেছেন। তিনি এই গুহার রহস্য ভেদ করে বলেন, এই গুহার নিচ থেকে প্রাকৃতিকভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হত। ফলে কোনো মানুষ বা জীবজন্তু গুহার ভেতরে প্রবেশ করলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের প্রভাবে শ্বাসকষ্টে মারা যেত।
আর পুরোহিতরা বিষয়টা পূর্ব থেকেই জানতেন বলে তারা এই গুহার ভেতরে ঢুকে দম বন্ধ করে থাকতেন। অথচ বাইরে এসে তাদের শক্তি ও ক্ষমতার মহিমা প্রচার করতেন।
সে যাই হোক, এই গুহা নিয়ে আলোচনার এতটুকু কমতি নেই। এই গুহাটিকে সবাই এখনো মানুষখেকো গুহা হিসেবে চিহ্নিত করে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।