যে চিপার মধ্যে আমরা পড়েছি সেখান থেকে দু-চারটা ককটেল আর একটু-আধটু মিছিল দিয়ে পরিবর্তন হবে না। এগুলো দিয়ে পরিবর্তনের যুগ শেষ। আমরা পাকিস্তানের পুলিশের টিয়ার গ্যাস, লাঠির বিরুদ্ধে গুলতি মারতাম। এতে সরকারের কিছু আসে যায় না। রাজনীতিটা একটা আদর্শিক জায়গায় এসেছে।
৬৫ বছর যে শক্তির বিরুদ্ধে আমরা কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলাম আজ সেই শক্তির সঙ্গে সহবাস করতে হয়েছে। এখন সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। বুদ্ধি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বুধবার ইটিভির টকশো 'একুশের রাত'-এ সাবেক মন্ত্রী, ইত্তেফাক সম্পাদক, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ কথা বলেন। মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
ইত্তেফাক সম্পাদক বলেন, পত্রিকায় লিখেছে দেশে গৃহযুদ্ধের আতঙ্ক। কথাটা ঠিক নয়। আমাদের এখানে সংঘাত হতে পারে। গৃহযুদ্ধ হতে পারে না। গৃহযুদ্ধ অন্য বিষয়।
বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। সবে স্বাধীন হয়েছি। ২০০ বছর পরাধীন ছিলাম। ২৩ বছর আধাপরাধীন ছিলাম। এই স্বাধীনতাকে আত্দস্থ করতে একটু সময় লাগবে।
ধৈর্যহারা হওয়ার কিছু নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, এই স্টুডিওতে অনেকে এসে অনেক কথা বলে যান। সরকার সম্পর্কে বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, বিরোধী দলের নেতা সম্পর্কে বলেন, আমলাদের সম্পর্কে বলেন, বিচার বিভাগ সম্পর্কে বলেন। তাদের কথাবার্তায় বিষ।
ঘৃণা। তাদের জ্ঞান সম্পর্কে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। অথচ তারা কোনো আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করেন না। জীবনে কোনো দিন একটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেননি। অথচ সব কিছু নিয়ে সমালোচনা করেই যাচ্ছেন।
আমাদের উদারপন্থি রাজনীতিকে কলুষিত করতে চাচ্ছেন। আমরা দুর্নীতিবাজ, আমরা অদক্ষ, আমাদের রাজা বলা হয় ইত্যাদি। আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি। আমাদের সমাজে লুটপাট হয়। আমাদের এখানে ক্ষমতা খুব আকর্ষণীয়, লোভনীয়।
রাশিয়ায় কি হয় না? চীনে কি হয় না? ওখানে কি রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট হচ্ছে না? এটা তো বড় কথা নয়। বড় কথা রাষ্ট্র পরিচালনা। ওয়ান-ইলেভেনে যে কারণেই হোক আমরা ভুক্তভোগী হয়েছি। এটা একটা সার্বিক নীলনকশার অংশ। যারা বিএনপির সময় লুটপাট করেছেন এখন আওয়ামী-কমিউনিস্ট উগ্রপন্থিদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তারাই লুটপাট করছেন।
জেপি চেয়ারম্যান বলেন, গ্লোবালাইজেশনের সুবিধা আছে, আবার অসুবিধাও আছে। আমাদের এখন বুদ্ধি করে খেলতে হবে। গ্লোবালাইজেশনের কারণে আমেরিকার উৎপাদকরাও পণ্য উৎপাদনের জন্য এখন নিজ দেশ ছেড়ে এশিয়া এমনকি বাংলাদেশের দিকেও ঝুঁকছে। আজ ৩৫০ টাকার নিচে গ্রামে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক ভীতি, প্রতিবন্ধকতা, আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।