ইলিশের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত উপকূলীয় চারটি এলাকায় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই ১১দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ বা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি’ বাস্তবায়নে নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে মত্স্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
জেলা মত্স্য অফিস সূত্র জানায়, ২০০৫ সাল থেকে মত্স্য বিভাগ ইলিশের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে দেশের উপকূলীয় চারটি প্রধান প্রজননস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে। পয়েন্টগুলো হলো পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী (আন্ধারমানিক নদীর অববাহিকা), ভোলার উত্তর তজমুদ্দিনের-পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্ট, চট্টগ্রামের মীরসরাই শাহের খালী-হাইতকান্দী পয়েন্ট, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া-গন্ডামারা পয়েন্টগুলোর অন্তর্গত প্রায় সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা।
কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত প্রতিবছর আশ্বিনী পূর্ণিমার জোয়ারে ইলিশ ডিম ছাড়ে। এ সময় ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম থাকে। তাই এ বছর আশ্বিনী পূর্ণিমায় ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর ঘোষণা করেছে মত্স্য বিভাগ। এই ১১ দিন এসব পয়েন্টে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পোষ্টারিং, প্রচারপত্র বিতরণসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় মত্স্য অধিদপ্তর।
পটুয়াখালীর জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জেলার লতাচাপলী পয়েন্টের ১০ নটিক্যাল মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আগে থেকেই ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ইলিশ ধরা বন্ধ নিশ্চিত করতে এসব এলাকায় জেলা মত্স্য বিভাগ থেকে নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতও থাকবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।