আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই...
মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গচ্যুত দেবতারা ব্রহ্মার শরণ নিলে ব্রহ্মা, শিব ও অন্য সকলকে নিয়ে বিষ্ণু কাছে আসেন৷
তাঁদের দুর্দশার কথা জানিয়ে তাঁরা ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেন, এর থেকে মুক্তির পথ কী?
স্বয়ং ব্রহ্মার দেওয়া বরেই মহিষাসুরকে বধ করতে পারবেনা কোনও পুরুষ৷
বিষ্ণু এর উত্তরে বলেন, এই পরাক্রমশালী অসুরকে বধ করতে হলে নিজের নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়ে
নিজ নিজ তেজের কাছে প্রার্থনা করতে হবে যে তাঁদের মিলিত তেজ থেকে যেন এক নারীমূর্তির আবির্ভাব হয়৷
বিষ্ণুর কথা মতো কাজ শুরু করেন দেবতারা৷ দেবতাদের দেহ থেকে তেজ নির্গত হয়ে সৃষ্টি হয় এক অপরূপা দেবীর৷
যে দেবতাদের দেহ থেকে তেজ নির্গত হয়েছিল,
তার মধ্যে ছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা, শিব, বিষ্ণু ও ইন্দ্র৷ দেবতারা তাঁদের নিজেদের অস্ত্র এই দেবীকে দান করেন৷
দৈত্যনাশার্থো বচনো দ-কার:
পরিকীর্ত্তিত উ-কারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত,
রেফো রোগঘ্ন বচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচক ভয়শত্রুঘ্নবচনোশ্চাকার: পরিকীর্তিত।।
"দ" অক্ষরটি দৈত্যনাশক,উকার বিঘ্ননাশক,রেফ রোগঘ্ন, গ অক্ষর পাপঘ্ন, আকার ভয় শত্রুঘ্ন।
দৈত্য,বিঘ্ন,রোগ,পাপ, এবং ভয় ও শত্রু হতে যিনি রক্ষা করেন তিনিই দুর্গা। দুর্গা মূলত শক্তি দেবী।
ইতিহাস বলে,
নদীয়ার মহারাজা কৃষচন্দ্রের উত্তরসুরী ভবানন্দ ১৬০৬ সালে প্রথম দুর্গাপুজো করেন৷
সেই সময় পুজো হত রাজবাড়ির অভিজাত ঠাকুরদালানে, রাজার ব্যক্তিগত উদ্যোগে৷
অত্যন্ত আড়ম্বড়ে পুজো হলেও তা দেখার দরজা সাধারণ মানুষদের জন্য খোলা থাকত না৷
হুগলীর গুপ্তিপাড়ার এক ধনী গৃহস্থের বাড়ির পুজোয় অংশ নিতে না পারার জন্য বারো জন মানুষ ক্রুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে বারিয়ে আসেন
এবং ঠিক করেন, তাঁরা নিজেরাই মিলেমিশে চাঁদা তুলে নতুন করে পুজো করবেন৷
গৃহস্থের দালান থেকে বেরিয়ে যেহেতু বারো জনের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর এই নতুন ধরনের সূচনা, তাই এর নাম হয় 'বারোয়ারি'(বারো-ইয়ারি)৷
১৯১০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কলকাতায় প্রথম সর্বজনীন দুর্গোৎসব করে৷
তার মানে, এর আগে মা দূর্গা শুধু বণিকদের ঘরে শোভা বাড়াত? গরিবেরা মা দূর্গার আশীর্বাদ পেত না ?!!
দেবতাদের মাঝেও দলাদলি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।