সারাদেশে যখন ধর্ষণের প্রতিবাদে ঝড় বইছে তখনও ধর্ষকরা নিশ্চিন্তে ধর্ষণ করে বেড়াছে। লক্ষ মানুষের প্রতিবাদ, কোন আইন, প্রশাসনের হুমকি কিছুতেই তারা রুখেছে না। কারণ এই দেশে ধর্ষকরা পার পায় বার বার। ধর্ষকের হুমকিতে বার বার নির্যাতিত পরিবারগুলো নিজেদের নিরাপত্তা আর সামাজিক লজ্জার কথা বিবেচনা লুকিয়ে বাঁচতে চায়।
শাস্তির দাবী নিয়ে যেসব পরিবারগুলো এগিয়ে আসে সেই পরিবারগুলোর পাশে দাড়ানোর সময়ই থাকে না আমাদের নানা ব্যস্ততায় কিংবা অযুহাতে।
কিন্তু আর কতবার আমরা পালাব? আর কত শামীম আকন্দ জন্মাবে আমাদের নিরবতাকে পুজিঁ করে।
গত ২৮ডিসেম্বর রাতে পটুয়াখালীতে ১২ বছরের একটি মেয়ে নাজমা বেগমের সহয়তায় ধর্ষণ করে শামীম আহমেদ আকন্দ নামের এক যুবক (পটুয়াখালী সরকারী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র)। ২৯ ডিসেম্বর মেয়েটি শারিরিক অবস্থার অবনতির, আর্থিক অসংগতি আর লোকলজ্জার ভয়ে তাকে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু আবারও রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থার অবনতি হওয়াতে গত ১০ জানুয়ারীতে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
মা মৃত আর বাবা ২য় বিবাহের কারণে মেয়েটির আশ্রয় নেয় দূর সম্পর্কের এক ফুফুর কাছে। এই ফুফুর সামান্য আয়ে যেখানে সংসার চালানো কঠিন তখন এই মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালানো কঠিন কাজ।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, এটিএন বাংলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক সাথী পত্রিকার সম্পাদক মিলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তাদের সহযোগিতায় থানায় একটি মামলা করা হয়। পুলিশ ধর্ষণের সহযোগী নাজমা বেগমক ও ধর্ষকের বাবা আলী আকবরকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু এই গ্রেফতার আর মামলা আর জটিল করে তুলেছে মেয়েটির জীবনকে। ধর্ষক শামীম আকন্দের অব্যাহত হুমকির মুখে তার শেষ আশ্রয়টুকু এখন আর নিরাপদ নয়। সমাজপতিরাও চাপ দিচ্ছেন যাই হবার হয়েছে একটা মিমাংসা করতে হবে।
এক আস্টেলিয়ার প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা কয়জন ফেসবুকের বন্ধু মিলে চেষ্টা করি মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসতে। তার ফুফুর অনুফা বেগমের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়।
নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে এখন আর কোন ঝামেলায় জড়াতে চায় না ঐ পরিবারটি।
নিরাপত্তাহীনতার কথা চিন্তা করে এখন আর বিচারের কথা চিন্তা করছে না তারা। এখন আল্লাহ উপর ভরসা ছাড়া কোন উপায় নেই।
হয়ত সামাজিক মিমাংসাই শেষ গন্তব্য। কিন্তু এই শামীম আকন্দ আর নাজমা বেগম থেকে কি আমরা মুক্তি পাব?
আমরা যারা এই শহরে ব্যানার, ফ্যাসটুন আর মোমবাতি জ্বালিয়ে বার বার দাড়াই শহীদ মিনার, প্রেসক্লাব আর শাহবাগ চত্ত্বরে, ফেসবুক হাজার বার লিখ বিচার চাই, বিচার চাই।
আমাদের এই চাওয়া কোনদিনই পূণ হবে যদি আজ পটুয়াখালীর ঐ পরিবারটির পাশে দাড়াতে না পারি। বিচারের প্রত্যাশী এই অনুফা বেগমের পাশে দাড়াতে হবে।
আমরা যারা জন্য সামাজিক যোগাযোগেরসাইটগুলো ব্যবহার করি এই দেশে শুধুমাত্র তারাই যদি গর্জে ওঠি আজ তাহলে এই শামীম আকন্দ আর নাজমারা কোনভাবে রক্ষা পাবে না।
ঢাকায় বসে পটুয়াখালীর ঐ পরিবারটির জন্য কি করতে পারি।
১. পটুয়াখালী থানা, জেলা প্রশাসক এর অফিসে ফোন/ইমেল করে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করতে পারি।
২.সি্ভিল সার্জন, পটুয়াখালী কে ফোন করে তার চিকিৎসার জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরুধ করতে পারি।
৩.পটুয়াখালীর বিভিন্ন সংগঠন, পরিচিত ব্যক্তিকে এই বিষয়ে সোচ্চার হবার আহবান করতে পারি।
৪.পটুয়াখালী সরকারী কলেজ কতৃপক্ষকে এই ছাত্রের বিরুদ্ধে য ব্যবস্থা নেবার অনুরুধ করতে পারি। যাতে অন্য ছাত্রদের জন্য তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
ডেইলি স্টার পত্রিকার লিংক
১.পটুয়াখালী সদর থানা/পুলিশ
০৪৪১৬৭৬২
২.জেলা প্রশাসক
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পটুয়াখালী।
ফোনঃ অফিস- ০৪৪১-৬২৩০০
বাসা- ০৪৪১-৬২৪৪৭
ফ্যাক্স- ০৪৪১-৬২৫৬৮
ইমেইল
৩.ডা: জিতেন্ত্র চন্দ্র রায়
সি্ভিল সার্জন, পটুয়াখালী
ফোন নম্বর : ০৪৪১-৬২৬২০ (অফিস)
মোবাইল : ০১৭১১০২০৪৭৩
ফ্যাক্স নম্বর : ০৪৪১-৬২৬২০
ই-মেইল :
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।