আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাক-সমীক্ষা ছাড়াই রূপপুর বিপজ্জনক পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন



রূপপুর বিপজ্জনক পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র জনগণের কাছে তথ্য গোপন করে বিপজ্জনক প্রকল্প প্রণয়নের উদ্দেশ্য কি? অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি কাজ না করে তড়িঘড়ি শুরু করা হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের ‘দৃশ্যমান তথপরতা’। গত ২ অক্টোবর ২০১৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করে গেলেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করার মত প্রস্তুতিই শেষ হয়নি। যার জন্য রাশিয়া থেকে ৫০ কোটি ডলার (৪ হাজার কোটি টাকা) ঋণ নেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক প্রকল্প প্রণয়নের জন্য প্রকল্প স্থাপনের (বাংলাদেশ কর্তৃক করণীয়) প্রাক সমীক্ষার আন্তর্জাতিক পরমানু শক্তি সংস্থা (আই.এ.ই.এ.) কর্তৃক নির্ধারিত অবশ্য পালনীয় শর্তাবলী বাস্তবায়নে উদোগ কেন নেওয়া হয়নি জনগণ তা জানতে চায়।

প্রাক সমীক্ষার শর্তাবলী : ১। রূপপুরে পারমাণবিক প্রকল্পের উপযোগিতার প্রতিবেদন তৈরী। ২। ঢাকা ও রূপপুরে তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ। ৩।

প্রকল্পের ক্ষমতা ও ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে বাধ্যতামূলক পাবলিক কাউন্সিল গঠন। ৪। স্থানীয় জনগণের নিকট আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আই এ ই এ) বিধান প্রকাশ করা ও মতামত গ্রহণ করা। ৫। প্রকল্প এলাকার বার্ষিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর অবস্থা নিরুপন।

৬। ভূ-ত্বাত্ত্বিক গঠন ও ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতার মাত্র নিরুপন। ৭। প্রকল্পের সময়কাল ও প্রকৃত ব্যয় নিরুপন ও প্রকাশ করা। ৮।

প্রকল্প এলাকার প্রকৌশল গত জরিপ ও সাইড সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ। ৯। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ। ১০। প্রকল্প এলাকা ও চারপাশের পরিবেশগত ও বাস্তব চিত্র প্রকাশ করা।

১১। প্রকল্প এলাকার ৫ কি.মি এর কৃষি উতপাদন, বনজ সম্পদ ও প্রাণবৈচিত্রের সমীক্ষা তৈরী। ১২। বসবাসকৃত জন ঘনত্বের হার প্রকাশ করা। ১৩।

পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থার ধরণ ও উস নিরুপন করা। ১৪। প্রকল্পের কাঁচামাল ও ব্যবহৃত বর্জ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া ও স্থান নিরুপন। ১৫। প্রকল্প অঞ্চলের ভূমির শ্রেণী, যোগাযোগ ব্যবস্থার ধরণ নিরুপন করা।

১৬। প্রকল্প অঞ্চলের নূন্যাধিক ৩ কি.মি. এর মধ্যে বসবাসকারী জনবসতি উচ্ছেদ পরবর্তী পূনর্বাসনের প্রক্রিয়া নিরুপন। উপরোক্ত শর্তাবলীসহ (রাশিয়া কর্তৃক নির্ধারিত) ৬৩ প্রকারের সমীক্ষার রিপোর্ট জনগণের নিকট প্রকাশ না করে রূপপুরে বিপজ্জনক পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প নির্মাণে সরকারি সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা কোথায় ? তবে কী সরকার লক্ষ হাজার কোটি টাকার ঋণ জনগণের উপরে চাপিয়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ? এই যদি উদ্দেশ্য হয় তবে এই অপতথপরতার বিরুদ্ধে সমগ্র জনগণকে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হতে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান করা যাচ্ছে। প্রচারে : রূপপুর বিপজ্জনক পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র ছাত্র-যুব প্রতিরোধ কমিটি


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।