সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোর আঘাতে ৮টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আজ সকাল ৮ টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে।
পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে বয়ে যাওয়া ২ মিটিটের টর্নেডোর আঘাতে মুহুত্বের মধ্যে পাঁচপোতা, কোড়া মাঘরি, আজিমতলা, চন্ডিপুর, পাঁচপোতা, রহিমপুর চিনেডাঙ্গাসহ পাশ্ববর্তী ৮টি গ্রাম লন্ডবন্ড হয়ে যায়। এসময় আড়াই শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ী ধ্বসে পড়েছে। টর্নেডোর আঘাতে অর্ধ-শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২০ জনকে স্থানীয় সখিপুর স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। আমন ফসলসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, আজ সকাল ৮ টার দিকে হঠাত্ করে মাঘরী ঈদগাহ এলাকা থেকে টর্নেডো শুরু হয়। পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে বয়ে যাওয়া এই টর্নেডো দুই থেকে আড়াই মিনিট স্থায়ী ছিল।
টর্নেডোর আঘাতে মুহুত্বের মধ্যে আশপাশের প্রায় আটটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছইলদ্দিন, নিরানজল, শুকুমার, আনিসুর, রেহানা, সোনালী, হোসেন আলী, কাঞ্চন, মনোয়ারা, শাহানারা, ফজিলা, হ্নদয়, রাজিবসহ ২০ জন নারী-পুরুষ-শিশুকে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিন শতাধিক কাচা ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শত শত গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
ঘটনা জানার পরপরি দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এদিকে, বিকাল তিন টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহায়তাও দিয়েছেন। টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগস্ত এলাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা।
তবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ক্ষতিগস্ত এলাকায় যাননি। এনিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম জানান, প্রায় তিন'শ কাচা ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তিনি তাত্ক্ষনিক ভাবে বলতে পারেননি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরো সহায়তা পাওয়ার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।