আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরআনের অনুবাদ কি পুরুষতান্ত্রিক কাঠমোল্লাদের মারাত্বক ভূল একটা অনুবাদ ।যা নাস্তিকদের সুবিধা করে দিচ্ছে



নাস্তিক অভিযোগকারীর ভাষ্যঃ আপনাদের ধর্মের বেহেস্ত তো বিশাল একখান হেরেমখানা (বেশ্যাখানা), ঐ খানে নাকি একেক জন পুরুষের জন্যে অনেকগুলা করে সুন্দরী হুর মানে বেশ্যা-রমণী দিবো ??আচ্ছা, পুরুষদের জন্য না হয় হুর দিবো, কিন্তু মাইয়াদের জন্য কি দিবো??একেকজন মাইয়ার জন্যও কি অনেকগুলা করে পুরুষ-বেশ্যা থাকবো ?? ইসলামিষ্টের ভাষ্যঃ পবিত্র কোর'আনে হুরের উল্লেখ রয়েছে অসংখ্যবার। সুরা/আয়াত: ২/২৫, ৩/১৫, ৪/৫৭, ৪৪/(৫১-৫৪), ৫২/২০, ৫৫/(৫৬-৫৯), ৫৫/(৭০২-৭৮), ৫৬/(২২-২৬), ৫৬/(৩৫-৩৮) গুলোতে হুরের উদ্ধৃতি রয়েছে। যদিও বেশিরভাগ বাংলা অনুবাদকারীরা হুরকে নারীরূপে এবং যৌন সঙ্গীরূপে উপস্হাপণ করেছে, আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয় । বাংলা অনুবাদে হুরকে সরাসরি নারী হিসাবে উল্লেখ করা হলেও, ইংরেজী তর্জমায় হুরকে উপস্থাপন করা হয়েছে অসাধারণ সৌন্দর্যমন্ডিত এক বিশেষ সৃষ্টি রূপে, মূল আরবিতেও হুর যে নারী এমন কথা সরাসরি বলা হয়নি। মূল আরবিতেও হুর যে নারী এমন কথা বলা হয়নি।

ফেরেস্তাগন যেমন নারী না পুরুষ এমন প্রশ্ন কখনো কারো মুখ থেকে শোনা যায়নি। তেমনি হুরেরাও হচ্ছে সৌন্দর্যমন্ডিত আল্লাহতালার এক বিশেষ (স্পেশাল) সৃষ্টি, যারা নারী পুরুষ কোনটাই নয় বরং এক বরং সৌন্দর্যের এক বিশাল আধার, যে সৌন্দর্যের মুগ্ধ থাকবে বেহেস্তী নারী-পুরুষ সবাই । একটি গোলাপের পাপড়ির সৌন্দর্যের প্রতি নারী-পুরুষ উভয়ই যেমন মুগ্ধ নয়নে সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে কিংবা আধো-আধো বুলিতে কথা বলা চমৎকার একটি শিশু বাচ্চা দিকে নারী-পুরুষ উভয়ই যেমন মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকে, তেমনি জান্নাতি নারী-পুরুষ উভয়ই আল্লাহতালার এই বিশেষ (স্পেশাল) সৃষ্টির অপার সৌন্দর্যকে মুগ্ধ নয়নে উপভোগ করবে । দুনিয়াতে সৌন্দর্যের প্রতীক নারী, তাই সৌন্দর্যমন্ডিত হুরের সৌন্দর্যের উপর আমাদেরকে একটা ধারনা দেওয়ার জন্য নারীকে উপমা হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এর অর্থ এই না যে, হুরেরাও নারী । অনেক বিশেষ বিষয় মানুষের বুঝার সুবিধার্তে কোর'আনে অসংখ্যবার বিভিন্ন উপমা ব্যবহার করা হয়েছে।

সুরা বাকারার ২৬ নং আয়াতে সুষ্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে "আল্লাহ্ ছোট (মশা) অথবা বড় কোন জিনিসের উপমা দিতে বিব্রত বোধ করেন না”। কোর'আনে মশার উপমা রয়েছে তাই কারো মনে করা ঠিক হবেনা যে, বেহেস্তে মশাও পাওয়া যাবে। একই ভাবে হুরের সৌন্দর্যের উপর আমাদেরকে একটা ধারনা দেওয়ার জন্য নারীকে উপমা হিসাবে ব্যবহার করা হলেও এর অর্থ এই না যে, হুরেরাও নারী । হুর বেহেস্তে কেবলমাত্র পুরুষের কোন জন্য কোন মহিলা সঙ্গী নয়, বরং হুর হবে বেহেস্তে সকল বাসিন্দাদের আনন্দের একটি বিশেষ উপকরন। আল্লাহ্ নিখুঁত ভাবে হুর সৃষ্টি করেছেন।

এবং হুরদেরকে করা হয়েছে ভার্জিন, প্রেমময়, সমবয়স্ক। হুর সৃষ্টি করা হয়েছে ডান পাশের সঙ্গীদের জন্য (কম্পেনিয়ন অব দি রাইট হেন্ডস্)। ডান পাশের সঙ্গীদের মধ্যে নেককার নারী-পুরুষ উভয়ই থাকবে এবং এই ডান পাশের সকলকেই হুর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুধু পুরুষ সঙ্গীদেরকে হুর দেওয়া হবে এমন কথা কোর'আনে কোথায়ও বলা নেই। সৌন্দর্য শুধু যে পুরুষকে মুগ্ধ করে তা নয়, দুনিয়ার সকল সৌন্দর্য সমানভাবে উপভোগ করে নারী পুরুষ সবাই।

বেহেস্তে মুক্তোর মত হুরের উপস্থিতির আনন্দ থাকবে চির অমলিন, এবং শ্বাশত এই অনাবিল আনন্দের অংশীদার হবে বেহেস্তের পুরুষ মহিলা সবাই সমান ভাবে।  “There for them are pure companions” [সুরা/আয়াতঃ ২/২৫]  “আর সেখানে তাদের (জান্নাতি নারী-পুরুষের জন্য) জন্য পবিত্র সঙ্গীরা(হুর) থাকবে”।  “এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে দৃষ্টিনন্দন চমৎকার সঙ্গীদের সাথে একত্রিত করে দেবো”। [সুরা/আয়াতঃ৪৪/৫৪] • there are in those modest gage, whom neither human nor jinn touched before them • সেখানে থাকবে প্রতিশ্রুত বিনম্র হুর, যাদেরকে মানুষ কিংবা জ্বীন কখনো স্পর্শ করেনি । [সুরা/আয়াতঃ৫৫/৫৬]  lo ! I have create them a (new) creation And made them virgin, lover, friend.  আমি তাদেরকে বিশেষ সৃষ্টিরূপে তৈরি করেছি এবং তাদেরকে বানিয়েছি চিরকুমারত্ব বিশিষ্ট ,প্রেমী এবং বন্ধু রৃপে ।

৫৬/(৩৫-৩৮)  নাস্তিক অভিযোগকারীর ভাষ্যঃ তা এই সব হুর সম্প্রদায় তো তোমাদের বেহেস্ত নামক পতিতালয়ের যৌন সঙ্গী হবে, নাকি ?? ইসলামিষ্টের ভাষ্যঃ দুঃখিত আপনার এই ধারনাটি মারাত্বক ভূল ধারনা । কোরআনের ৫৬ নং সূরার ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে এইসব হুরেরা হবে চিরকুমারত্ব বিশিষ্ট । অর্থাৎ এইসব হুরেরা যৌনতার সংশ্লিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকবে । এছাড়াও ৪৪ নম্বর সূরার ৫৩ নম্বর আয়াতেই ইঙ্গিত করা হয়েছে-এসব হুরদের কেন জান্নাতিদের জন্য সৃষ্টি করা হলো । ঐ আয়াতে বলা আছেঃ “তারা চিকন ও রেশমী বস্ত্র পরিধান করে তোমাদের মুখোমুখি বসবে” ।

এ আয়াত এটাই ইঙ্গিত দেয়- এইসমস্ত বিশেষ সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাণীগন জান্নাতি নারী-পুরুষদের মুখোমুখি বসবে, যাতে করে জান্নাতি নারী-পুরুষেরা আল্লাহতালার এই দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য অপলক দৃষ্টিতে উপভোগ করতে পারে । যেমনঃ হজরত সাবিত (রাঃ) হতে বর্নিত হাদিসে, তিনি বলেনঃ “জান্নাতে মানুষ সত্তর বছর পর্যন্ত হেলান দিয়ে আরামে বসে থাকবে । তখন ঐ মানুষটির সামনে অপরূপ দৃষ্টিনন্দন হুরেরা বিদ্যমান থাকবে । সত্তর বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন সে অন্যদিকে ঘুরবে তথন সে সম্পূর্ণ নতুন দৃশ্য দেখবে । সে তথন নতুন এমন হুরদের দেখবে যাদেরকে সে পূর্বে দেখেনি ।

তারা তাকে বলবে- আমরা আপনাদের প্রতি এতোই কৃতজ্ঞ যে, আপনার দৃষ্টি আমাদের দিকে পড়েছে” । এথেকে বোঝা যায়- মূলত জান্নাতি নারী-পুরুষের দৃষ্টির পরিপূর্ন মুগ্ধতা আনার লক্ষ্যেই এই হুর নামক মনোনুগ্ধকর দৃষ্টিনন্দন বিশেষ প্রাণীর সৃষ্টি । আমরা দুনিয়ার বাসিন্দা। দুনিয়ায় থেকে আখেরাত সম্মন্ধে একটা পরিষ্কার ধারনা অনুধাবন করা মানুষের পক্ষে খুব সহজ কাজ নয়। দুনিয়া ও আখেরাতের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ম কানুনের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে।

দুনিয়াতে সেক্স এর অনুভূতি আনন্দ দায়ক করে দেওয়া হয়েছে মানুষের বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য। বেহেস্তে বংশ বৃদ্ধির কার্যক্রম নেই, তাই যৌনানন্দের মত আনন্দের উপস্থিতি বেহেসী্ত পরিবেশের সহিত বেমানান একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ। আল্লাহ্ অপ্রয়োজনীয় কাজ পছন্দ করেন না। বেহেস্ত পবিত্র স্থান, সেখানে সামান্য পরিমান অপবিত্রতার স্পর্শ হতে দেওয়া হবে না। বেহেস্তে আনন্দের ব্যবস্থা করা হবে বেহেস্তের পবিত্রতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে।

জৈবিক প্রয়োজন এবং পশু আচরন বেহেস্তের পরিবেশের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ন নয়। আদম হাওয়া দুনিয়াতে অবতরনের পুর্বে হাজার হাজার বছর বেহেস্তে অবস্থান করেছিলেন। বেহেস্তে বেহেস্তী আনন্দে তারা ছিলেন অবিভূত। আনন্দের অনুভূতি তাদেরকে এতটাই অবিভূত করে রেখেছিল যে, গন্ধম খেয়ে অনন্ত জীবন বেহেস্তে থেকে যাওয়ার শয়তানের প্রস্তাব যে প্রলোভন ছিল তাও তারা ভূলে গিয়েছিল। শয়তানের প্ররোচনা আদম হাওয়া কে এতটাই বিভ্রান্ত করেছিল যে, তারা আল্লাহ্র একমাত্র হেদায়েতটি পালনে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল।

আল্লাহ্র আদেশ পালন করতে ব্যর্থ হলে গুনাহ্ হয়। আর বেহেস্তে অবস্থানের যোগ্যতা নষ্ট হওয়ার জন্য এরকম একটি গুনাহই যথেষ্ট ছিল আদম হাওয়ার জন্য। এবং এই গুনাহের কাজটি করে ফেলার সাথে সাথেই বেহেস্তের পোষাক তাদের শরীর থেকে খসে পড়ে গিয়েছিল এবং ঊন্মেষ ঘটেছিল যৌনানুভূতির। ফলে তাড়াহুড়ো করে লতাপাতা দিয়ে পর্দা করতে হয়েছিল উভয়ের শরীরের সেন্সেটিভ জায়গাগুলো। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বেহেস্তে আদম-হাওয়ার বেহেস্তী আনন্দের সাথে যৌনতার কোন সম্পর্ক ছিলনা।

কারন বেহেস্তে যৌনতার অনুভূতি প্রকাশমান থাকলে, তাদের বেহেস্ত ত্যাগের সময় নতুন করে যৌনানুভূতি ঊন্মোচনের প্রশ্ন উঠতো না। এজন্যই বলা হয়, গুনাহ্ এর কাজ করলে মানুষ নেংটা হয়ে যায়, আর নেংটা লোকের স্থান বেহেস্তে রাখা হয়নি। ইসলামে হলিখেলার স্থান নেই, আর বেহেস্তকে বৃন্দাবন মনে করা হলেও ভূল করা হবে। দুনিয়ার সকল সৌন্দর্য সমানভাবে উপভোগ করে নারী পুরুষ সবাই। যৌনতার সাথে সৌন্দর্যের কোন সম্পর্ক নেই।

যৌনতা ভিন্ন রকমের একটি অনুভূতি, এই অনুভূতি সবসময় শুধু বিপরীত লিঙ্গের সৌন্দর্যকে আকৃষ্ট করে। 'হুর রক্ষিত মুক্তার মত, হুর কর্মের পুরুষ্কার', কোর'আনের এই উক্তি গুলোর সাথে 'সেখানে তারা অসার ও পাপ কথা শুনবেনা' কোর'আনের এই উক্তিটি বিশেষভাবে অর্থবোধক। মুক্তা সকলকে আনন্দ দেয়, কর্মের পুরুষ্কারও প্রদান করা হয় নারী-পুরুষ উভয়কে। হুর নারী-পুরুষ সবাইকে এই একই ভাবে মুগ্ধ রাখবে সকল পাপ পঙ্কিলতার উর্ধে থেকে। তাই কবি নজরুলের কথাকে একটু ঘুরিয়ে বললে বলা যায় 'হুর স্বর্গের অষ্পরী, নর নহে নারী নহে, ক্লীব সে তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।

' এটা মনে করা ঠিক নয় যে যৌনতাই আনন্দের সর্বোত্তম মাধ্যম। ফেরেস্তারা অনন্তকাল থেকে বেহেস্তে অবস্থান করে আসছে। বেহেস্তে ফেরেস্তাদের ঘর সংসার থাকলে আমাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হতো। ঘর সংসার নেই বলে ফেরেস্তারা সেখানে কষ্টে দিন কাটাচেছ বলে মনে হয়না। আল্লাহ্ নিজেও মহানন্দে একাই কাটাচ্ছেন অনন্ত জীবন।

বেহেস্ত মানুষের অনন্ত জীবনের বাসস্থান, বেহেস্তে আনন্দের ধরন থাকবে তাই শ্বাশত ও দীর্ঘস্থায়ী। দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী পরিস্থিতি অসতর্ক ভাবে অনন্ত জীবনের নিয়ম নীতির সাথে মিলাতে যাওয়া ভুল। আর অনেক ভুল অনেক সময় এতটাই ব্যায় বহুল (এক্সপেন্সিভ) হয়ে যায়, যা মাশুল দিয়েও পরিশোধ করা যায় না। নারীর সাথে পুরুষের সম্পর্ক চার রকমের ১. মা ২. বোন ৩. স্ত্রী ৪. কন্যা। প্রত্যেকটি সম্পর্কই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনুপম (ইউনিক) এবং নির্মল।

এর মধ্যে স্ত্রীর সম্পর্কের সহিত দু'টি বাড়তি উপাদান যুক্ত করা হয়েছে ১. পরিবার গঠন ২. সৃষ্টিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যৌন সম্পর্ক। মানবিক সম্পর্কের বাইরে এই দুটি দায়িত্ব প্রতিপালন করতে হয় নারী পুরুষ উভয়ের যৌথ প্রচেষ্টায়। আদম হাওয়া দুনিয়াতে অবতরনের আগে অনেক বছর বেহেস্তে অবস্থান করেছিলেন, তাদের কোন বংশ বৃদ্ধি হয়নি, কারন বেহেস্তে বংশ বৃদ্ধির কোন উপায় ছিলনা। তবে যৌনতা থাকলে বংশ বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখা যেতোনা। বেহেস্তে যৌনতা ছিলনা, তবুও আদম হাওয়ার মধ্যে একটা মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।

এরকম মধুর সম্পর্ক এখানেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিদ্যমান থাকে, যার সাথে যৌনতার কোন সম্পর্ক নেই। এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে (পারস্পেক্টিব) এক রকম মধুর সম্পর্ক আমাদের মা, বোন, কন্যার সাথেও আমাদের বিদ্যমান থাকে। তাই যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেওয়া হয় যে হুর নারী, সেক্ষেত্রে এই নারী হুরের সাথে আমাদের সস্পর্কের ধরন কি মা, বোন, স্ত্রী, কন্যার মত হবে, না অন্যরকম সম্পর্ক হবে এটাও একটি বিবেচ্য বিষয়। কারন হুর যে স্ত্রী হবে এমন কথা কোথায়ও বলা হয়নি। আর যদি ধরেও নেওয়া যায় যে হুরের সাথে সম্পর্ক থাকবে স্ত্রীর মত, তাহলেও অসুবিধা থাকার কথা নয়, কারন যৌন সম্পর্কের বাইরেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একটা মধুর পবিত্র সম্পর্ক বিরাজ করে, যাকে আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলে অভিহিত করে থাকি।

বন্ধুত্বের সম্পর্ক যে কোন ব্যক্তির মধ্যে গড়ে উঠতে পারে। পুরুষে পুরুষে বন্ধুত্ব হয়, বন্ধুত্ব নারীতে নারীতেও হতে পারে, এবং বন্ধুত্ব থাকতে পারে মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা সকল সম্পর্কের সৃষ্ট জীবের মধ্যে। সই এর সাথে সই এর সম্পর্কের গভীরতা অন্য যে কোন সম্পর্কের চেয়ে কম কখনো দেখতে পাওযা যায়নি। বেহেস্তেও হুরের সাথে নারীর সম্পর্কের গভীরতা কোন অংশে কম হবেনা বলেই বেহেস্তে নারী পুরুষ সবাইকে হুর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হুরের কথা শুনলে যাদের মধ্যে একটা লালসার মৃদু আনন্দানুভূতির উদ্রেগ হয়, তাদের জানা থাকা দরকার যে অপবিত্রতার সাথে সম্পর্ক যুক্ত কোন কমানুষ্ঠানের ব্যবস্থা বেহেস্তে থাকবেনা।

বেহেস্ত পবিত্র স্থান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আইনসিদ্ধ যৌন সম্পর্কও একটি মধুর কাজ, কিন্তু যেহেতু এই সম্পর্ক অনুষ্ঠিত (এক্সিকিউট) হলে গোসল করে পবিত্র হতে হয়। তাই যৌনতার মত কাজ, যার সাথে অপবিত্রতার সম্পর্ক রয়েছে এমন কাজ বেহেস্তে রাখা হবে না। সুতরাং বেহেস্তকে বৃন্দাবন মনে করা হলেও ভূল করা হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।