দুঃস্বপ্ন দেখি পৃথিবী থমকে গেছে, চোখ খোলার আগে ভাবি- জেগে যেন দেখি সব আগের মতোই আছে।
এই পর্বে থাকছে হারবিনের আইস এন্ড স্নো ওয়ার্ল্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও ছবি। আগেই বলেছি এই পার্কটিই ছিল হারবিনের মূল আকর্ষন। মুলত বিভিন্ন বিখ্যাত স্থাপত্য অনুকরণ করে এখানকার স্বচ্ছ বরফে তৈরী ঘরগুলো। কয়েক তলা বিশিষ্ট দালানতুল্য এই সব ঘরে কল্পনা থেকে বাস্তবের অনেক বিখ্যাত স্থাপত্য স্থান পেয়েছে - রাজপ্রাসাদ, কেল্লা, মসজিদ, এংরি বার্ড, গ্রেট ওয়াল, ফরবিডেন সিটি কি নেই সেখানে! পুরো জায়গাটি স্বপ্নের মত সুন্দর করে সাজানোর চেষ্টায় কোন ঘাটতি ছিলনা।
চলুন কথা না বাড়িয়ে ঝটপট ছবিগুলো দেখে নিই।
মোটামুটি এই পর্যন্তই, রাতের খাবার শেষে ফেরার পালা। পুরনো ধাঁচের কিন্তু বিশাল হারবিন রেলস্টেশন এ অনেকক্ষণ ঘুরে ঠিক প্লাটফরম পাওয়া গেল। আমেরিকান মুভিগুলোতে নিউইয়র্কের জনবহুল গতিময় ঝলমলে অবয়বের পরিবর্তে রাশিয়াকে কেমন বরফ ঢাকা নীলচে কালো, নীরব, বিশাল ধাতব কাঠামোর একটি প্রতিচ্ছবি দেয়ার চেষ্টা করা হয় কিছুটা তার ছাপ অনুভব করছিলাম যেন এই স্টেশনে। পুরনো হলেও অবশ্যই খুব ভালো ব্যবস্থাপনা আর পরিচ্ছন্নতা ছিল পুরো স্টেশন জুড়ে।
তারপর আরেকটি ক্লান্তিকরে লম্বা যাত্রা ... তবে শেষ দিকে এক চীনা পরিবারের সাথে গল্প করে ভালো সময় কাটলো।
হারবিনের স্পেশাল ‘হারবিন ব্রেড’ নামের বিশাল রুটি সময়ের অভাবে ট্রাই করা হলোনা। তবে সব মিলিয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। প্রচন্ড ঠান্ডার বিড়ম্বনা ছাড়া সব কিছুই খুব ভালো লেগেছে। ঘুরে আসতে পারেন উত্তর চীনের এই শহর থেকে – অবশ্যই শীতকালে (জানুয়ারী/ফেব্রুয়ারী)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।