দু দেশের প্রশাসনিক কড়াকড়িতে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে দেখা গেল না মিলনের চেনা ছবি। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের অভিযোগের ভিত্তিতে চরম কড়াকড়ি শুরু হয়েছে দুই পারের সীমান্তে। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেছে দুই দেশের মিলন স্থল টাকির ইছামতীর পাড়। পরিস্থিতির চাপে বদলে গেছে ইছামতীতে ভাসানের চেনা ছবিটা। দীর্ঘ ২৫০- ৩০০ বছর ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার টাকিতে ইছামতী নদীতে ভাসান যাত্রা উপলক্ষে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় দু বাংলা।
ভাসান উপলক্ষে বছরের এই একটা দিন একত্রিত হন একপারে টাকি আর ওপারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বেশ কয়েকটা জায়গার মানুষ। বাংলাদেশের ঘলঘলে, শ্রীপুর, পারুলিয়ার মতো গ্রাম ছাড়াও এই ভাসানে অংশ নিতেন ঢাকা থেকে আসা মানুষও। পরস্পরকে উপহার দেওয়ার মাধ্যমে গড়ে ওঠে এক অনাবিল সৌহার্দ্যের পরিধি।
২০১১ পর্যন্ত এইভাবেই মিলেমিশে গেছে দুই বাংলাভাষী মানুষ। কিন্তু ২০১১তে প্রশাসনের শিথিলতায় প্রচুর অনুপ্রবেশ ঘটে ভারত সীমান্তে।
এবং ওই সালেই ইছামতীর ভাসান দেখতে এসে নদীতে নৌকা উল্টে মৃত্যু হয় সুজয় দাস নামে যাদবপুরের এক গবেষকের। অনুপ্রবেশের জেরেই চুরি ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ টাকির বাসিন্দাদের। যার ফল স্বরূপ ২০১২তে সীমান্তে বেড়ে যায় কড়াকড়ি। বন্ধ হয়ে যায় বিসর্জন পর্ব।
দু দেশের প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হয় বিসর্জন হবে ইছামতী নদীতেই তবে কেউ কারও সীমানা লঙ্ঘণ করতে পারবে না।
সেই মতো সোমবার প্রশাসনের ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যেই বিসর্জনের জন্য ভারতের দিকে কিছু নৌকা নামলেও বাংলাদেশের দিকে কোনো নৌকা নামেই নি। দীর্ঘদিনের চেনা ছবিটা বদলে যাওয়ায় এদিন বিষাদের সুর শোনা গেছে অনেকের গলায়। সোমবার কিছু প্রতিমা নদীতে নামানো হলেও অধিকাংশ প্রতিমাই নৌকায় না তুলে বিসর্জন দিয়ে দেয়া হয়। আচমকাই এই একটা দিনের জন্য প্রশাসনিক কড়াকড়িতে অসন্তুষ্ট অনেকেই।
সূত্র: ওয়েবসাইট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।