উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্য্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে আগেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কোস্টা রিকা।
এই অঞ্চলের প্রথম তিনটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। আর চতুর্থ দলকে খেলতে হবে দুই লেগের প্লে-অফে। যেখানে মেক্সিকানদের প্রতিপক্ষ ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ড। ম্যাচ দুটি হবে ১৩ ও ২০ নভেম্বর।
জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে দু-দুবার এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি হন্ডুরাস, ২-২ গোলে ড্র করেছে। তবে তাতেই তৃতীয় স্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
কোস্টা রিকার কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায় মেক্সিকো। তবে পানামার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নাটকীয় জয় আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ইনজুরি সময়ে দুই গোল খেয়ে সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে পানামার।
সরাসরি ব্রাজিল যাত্রা নিশ্চিত করতে শুধু এক পয়েন্টের দরকার ছিল হন্ডুরাসের। কার্লো কস্টলির প্রথম মিনিটের গোলে শুরুটা দারুণ হয়েছিল তাদের। তবে দুই মিনিট পরেই হোর্হে ক্লারোসের আত্মঘাতী গোল সমতা নিয়ে আসে খেলায়।
৩৩ মিনিটে মেইনর ফিগুয়েরোয়ার লক্ষ্যভেদ আবার এগিয়ে দেয় হন্ডুরাসকে। ৫৮ মিনিটে রোডলফ অস্টিনের সফল পেনাল্টি জ্যামাইকাকে দ্বিতীয় বার সমতায় ফেরালেও হন্ডুরাসের তৃতীয় বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পথে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ১৪ বার বিশ্বকাপে খেলা মেক্সিকোর ভাগ্যের সহায়তায় প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে। ঘরের মাঠে ব্রায়ান রুইজ ও আলভারো সোবোরিওর গোলে তাদের হারিয়ে দিয়েছে কোস্টা রিকা। মেক্সিকানদের সান্ত্বনাসূচক গোলদাতা ওরিবে পেরালতা।
মেক্সিকো যখন ২-১ গোলে পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তখন ২-১ গোলে এগিয়ে স্বাগতিক পানামা। পানামার গোল দুটো করেন গ্যাব্রিয়েল তরেস ও লুইস তেহাদা, আর মার্কিনিদের মাইকেল ওরোজকো।
ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় মিনিটে গ্রাহাম জুসি ও অ্যারন জোহানসনের গোল পানামার হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে নাটকীয়ভাবে প্লে-অফ খেলার সুযোগ এনে দেয় মেক্সিকোকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।