ঢুস মারলে লালকার্ড তো দেখতেই হবে। তবে সাত বছর আগের ঢুসটির জের জিনেদিন জিদান যেন এখনো টেনে চলেছেন। হয়তো টানতে হবে আজীবন। জিদানের সেই ঢুস এবার ‘লালকার্ড’ দেখল কাতারেও।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্কো মাতেরাজ্জিকে জিদানের ‘ঢুস’ মারার দৃশ্যটা স্থায়ী আসনই গড়ে নিয়েছে ফুটবল বিশ্বে।
বহুল চর্চিত সেই মুহূর্তটি নিয়ে ভাস্কর্যই বানিয়ে ফেলেছিলেন জিদানের মতোই আলজেরিয়ার বংশোদ্ভূত ফরাসি শিল্পী আদেল আবদেসসামেদ। সেই ভাস্কর্যটি প্রদর্শনীর জন্য আনা হয়েছিল ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ কাতারে। কিন্তু সমালোচনার মুখে আয়োজকেরা এটি সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হলেন।
ইতালি, ফ্রান্সের পর জিদানের এই মূর্তিটি প্রদর্শনীর জন্য আনা হয়েছিল কাতারে। গত ৩ অক্টোবর এটি স্থাপন করা হয়েছিল দেশটির রাজধানী দোহায়।
কিন্তু সেখানকার স্থানীয় জনগণ ভালোভাবে নিতে পারেনি ভাস্কর্যটি। তাদের মনে হয়েছে, এই মূর্তি ছোটদের সহিংস হতে উত্সাহিত করবে। এ ছাড়াও ইসলামপ্রধান দেশটির অনেকেরই ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত হেনেছে এই ভাস্কর্য। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, এই ভাস্কর্য জিদানের বিশাল গৌরবময় ক্যারিয়ারের শুধু অন্ধকার দিকটির কথাই বলছে। সব মিলিয়ে প্রবল আপত্তির মুখেই ১৬.৪ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্যটি সরিয়েই ফেলতে হয়েছে কাতার থেকে।
কেউ কেউ ভাস্কর্যটির শিল্পমানের প্রশংসা করেছিলেন বটে, কিন্তু এটার অপসারণ ঠেকাতে পারেননি। ফলে সমালোচনার ‘লালকার্ড’ দেখে বিদায় নিতে হয়েছে ‘ক্যু দে তেতে’ নামের জিদানের এই ভাস্কর্যটিকে। সেটি এখন দোহার আরব মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেখানে ফরাসি শিল্পী আবদেসসামেদের করা অন্য কাজগুলোর সঙ্গেই রাখা হবে জিদানের এই ভাস্কর্যটি। সূত্র: ডেইলি মিরর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।