জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৮৪ রান। ৩ উইকেটে ১৩৫ রান তুলেও ফেলেছিল পাকিস্তান। ম্যাচটা একপেশে হবে ভেবে যাঁরা সেদিন টিভিতে খেলা দেখেননি, পরদিন বিস্ময়ের সঙ্গে আবিষ্কার করেছেন, ম্যাচটা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকাই। জয় এক রানের! ৪৭ রানে তারা হারিয়ে ফেলল শেষ সাতটি উইকেট!
কেন পারল না পাকিস্তান? আমির সোহেলের কাছে একটাই উত্তর। কারণ শহীদ আফ্রিদি! যুক্তিও আছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের কথায়।
আফ্রিদি যখন ব্যাট হাতে নামেন, তখনো পাকিস্তানের হাতে ছিল ৫ উইকেট। জয় থেকে পাকিস্তান মাত্র ১৭ রান দূরে ছিল। সোহেল বলছেন, ‘আফ্রিদি ম্যাচটা পাকিস্তানকে জেতাতে পারত। কারণ ও ব্যাট হাতে নামার সময়ও আমরা জয়ের মতো অবস্থায় বেশ ভালোভাবেই ছিলাম। ও উইকেটে থাকা অবস্থাতেই পাকিস্তানের আর ১০ রান লাগত, ছয় ওভার বাকি ছিল।
এরপর ওই সময়ে ও যে শটটা খেলল, সেটা খেলার কোনো যুক্তি আমি দেখি না। ’
ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে গিয়ে আফ্রিদি ইমরান তাহিরের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন। সেই শট পাকিস্তান সমর্থকদের বুকে এখনো শেল হয়ে বিঁধে আছে নিশ্চয়ই। তবে এভাবে শট খেলার জন্য গঞ্জনা শোনা ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকটির জন্য নতুন কিছু নয়।
সোহেলও জানেন, মেরে খেলাই আফ্রিদির অভ্যাস।
কিন্তু তাই বলে এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলার পরও পরিস্থিতি তিনি বুঝবেন না! ‘আমাদের সব ব্যাটসম্যানই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো খেলেছে। কিন্তু আফ্রিদির ক্ষেত্রে হতাশাটা আরও বেশি করে আসছে, কারণ ও এতগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছে, ও জানে এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত। আফ্রিদির বোঝা উচিত ছিল ওই মুহূর্তে ওর দায়িত্ব কী ছিল’—বলেছেন সোহেল।
সোহেলের মতো পাকিস্তানের আরও কয়েকজন সাবেক গলা মিলিয়েছেন আফ্রিদিকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়ার। বিশ্রামের নামে বাদ পড়া, আবার দলে ফেরাও আফ্রিদির জন্য নতুন কিছু নয়।
পাকিস্তান অবশ্য আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঠিকই দলে রেখেছে তাঁকে। দেখা যাক, অতীতের মতো এবারও ব্যাটে-বলে কিছু করে সমালোচনার জবাব আফ্রিদি দিতে পারেন কি না!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।