আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০০ তরুণের ভারত সফর

নিজের প্রথম বিদেশ ভ্রমণ ছিল বলে একটু টেনশনেই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের শিক্ষার্থী সানজানা চৌধুরী। কিন্তু নতুন বন্ধুদের পেয়ে সেই দুশ্চিন্তা উবে গিয়েছিল। ভ্রমণের সঙ্গী ছিল বাংলাদেশি দেশাত্মবোধক গান। যখনই সুযোগ পেয়েছেন একসঙ্গে কোরাস করে সবাই মিলে গেয়েছেন বাংলাদেশের গান। কলকাতা বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুভূতি এখনো আলোড়িত করে তাঁকে।



গত ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের তরুণ প্রতিনিধিদল ভারত ঘুরে এল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক আড্ডায় পাওয়া গেল তাঁদেরই কয়েকজনকে। এই দলের সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাবাস্সুম, আকিফ আহমেদ, অর্পিতা ঐশ্বর্য, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আমিনা খাতুন ও মাহফুজুর রহমান, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের সানজানা চৌধুরী, সংগীত বিভাগের জে এস এ মার্সেল, মনোবিজ্ঞান বিভাগের রাউফুন নাহার, আইন বিভাগের প্রিয়াংকা বোস, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মির্জা রেহনুমা তাবাসসুম প্রমুখ।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নন, এ সফরে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (আইইউবি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শত তরুণের এই দলে আরও ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তরুণ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা।

সফরের মূল আকর্ষণ ছিল ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ। স্মিত হাসিতে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। বাংলাদেশের নড়াইলের জামাইবাবু প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশি তরুণদের জানান, ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুরু থেকেই বন্ধুরাষ্ট্র। দুই প্রতিবেশী দেশের তরুণেরাই আগামীর স্থিতিশীল শান্তিময় দক্ষিণ এশিয়া গড়ার জন্য এগিয়ে আসবে। রাষ্ট্রপতি তরুণদের ভারতবর্ষে ভ্রমণের জন্য অভিনন্দন জানান।

ভারতের যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সহযোগিতায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ সফরের আয়োজন করে।

সফর শুরু হয় দিল্লির বিখ্যাত কুতুব মিনার দিয়ে। প্রিয়াংকা, অর্পিতা বিখ্যাত সব ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে ছিলেন আনন্দে আত্মহারা। সফরের দ্বিতীয় দিন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে এই তরুণ দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরান্ডা হাউসের শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে চমকে দেন সফররত বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের।

প্রতিবেশী দুই দেশের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে গল্প আর আডায় মেতে ওঠেন। সুমাইয়া, আকিফ, সানজানা নিজেদের বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবাভিত্তিক বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেন।

অল ইন্ডিয়া রেডিও, দূরদর্শনের প্রধান কার্যালয়, ভারতীয় পার্লামেন্ট ভবনও ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আট দিনের এই সফরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, আগ্রা, বেঙ্গালুরু ও মিসোরি এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া তাঁরা ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বেঙ্গালুরুর সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের ক্যাম্পাসের কথা পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে। আমির খানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র থ্রি ইডিয়টস যেখানে চিত্রায়িত হয়েছিল, সেখানেও তাঁদের ভ্রমণের সুযোগ ঘটে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।