আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ন্যান্সিকে নিয়ে গুঞ্জন ডালপালা মেলছে

সঙ্গীতশিল্পী ন্যান্সিকে নিয়ে এবার নতুন গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি'র মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন ন্যান্সি! খোঁদ বিএনপি'র একটা অংশের মধ্যে এ নিয়ে কানাকানি চলছে।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিএনপি'র প্রতি ভালোলাগা প্রকাশ করার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ন্যান্সির সাক্ষাৎ যেন সেই গুঞ্জনে ঘি ঢেলেছে। এরই মধ্যে ন্যান্সির একটি সমর্থকগোষ্ঠীও তৈরি হয়ে গেছে।

তারা বলছেন, ন্যান্সির জনপ্রিয়তা ভালোই। সে যে আসন থেকেই দাড়াক তার জেতার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া দলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনোনয়নের সুযোগতো নতুন আরপিওতে আছেই।

তবে দলের অনেকেই এ গুঞ্জনকে ভালো চোখে দেখছেন না। তারা বলছেন, দলে ন্যান্সির তেমন কোনো অবদান নেই।

সুতরাং, দলের হাইকমাণ্ড এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে হয় না। যদি শুধু গ্লামারের কারণে দল ন্যান্সিকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেটা খুব একটা সুখপ্রদ হবে না। এতে দলের নিবেদিত ও পরীক্ষিত কর্মীদের বঞ্চিত করা হবে।

এদিকে ন্যান্সির ফেসবুক পোস্ট আর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতকে সন্দেহের চোখে দেখছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, গত চার বছরে তার কোন দেখা পেলাম না।

এখন সরকার পরিবর্তনের আশায় শেষ সময়ে এসে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে আর বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজনীতিতে একটা জায়গা তৈরি করতে চাচ্ছেন।

তবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন ন্যান্সি। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি'র প্রতি ভাললাগা থেকে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছেন। রাজনীতিতে আসার কোন ইচ্ছা তার নেই। বিএনপি চেয়ারপারসনও তাকে দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সাক্ষাতের সময়ে উপস্থিত থাকা চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দলে যোগ দেওয়া, মনোনয়ন এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই তাদের হয়নি। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ন্যান্সিকে বলেছেন, তোমার সামনে এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। কোনো রকম দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কে না থেকে ক্যারিয়ারে মনোযোগ দাও।

এদিকে যতোই না, না করুক, ন্যান্সির ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিএনপিপন্থি নেতারা উপস্থিত থাকায় প্রশ্নটি আরও জোরদার হয়েছে। তবে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতে এবং সংবাদ সম্মেলনেও তিনি বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন।

নিজের আতঙ্কের কথা বলছিলেন, ছোট ভাইটির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। বিএনপির প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন রয়েছে স্বীকার করে নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয়তা নেই বলেও জোর দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি শিল্পী। আমি সবার জন্য গান করি। শুধু একটি দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশে আমার দোষ হতে পারে না।

উল্লেখ্য, ২১ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পরে ফেসবুকে বিএনপির প্রতি নিজের ভালোলাগা ও সরকারের সমালোচনা করে একটি পোস্ট দেন ন্যান্সি। তার জনপ্রিয়তার কারণেই দ্রুত সময়ে পোস্টটি নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর থেকে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ন্যান্সির নেত্রকোনার ফাঁকা বাড়িতে পুলিশি অভিযান হয়।

ন্যান্সি নিজেই পরের পোস্টটিতে জানান, আগের পোস্টটির জন্য নানাজনের নানা কথা শুনতে হচ্ছে তাকে।

কেউ কেউ নাকি তাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে। কেউ কেউ তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাওয়ারও পরামর্শ দেন।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।