৪ নভেম্বরের পরীক্ষা আগামী ৮ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টা থেকে সোয়া ৫টা এবং ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা ৯ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০ থেকে হবে।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “ছেলেমেয়েদের জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনা করে আমরা পরীক্ষার্থীদের হিংস্রতার মুখে ফেলে দিতে পারি না। তাই পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। ”
‘অবিবেকবান’ মানুষদের বিবেক জাগ্রত করারও আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
৪ নভেম্বর জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র এবং ৬ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
আর জেডিসিতে ৪ নভেম্বর কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ এবং ৬ নভেম্বর আররি প্রথম পত্রের পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর সারা দেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দেলীয় জোট।
হরতালের কারণে গত এসএসসির ৩৭টি এবং এইচএসসির ৩২টি বিষয়ের পরীক্ষাসূচি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে হরতাল না দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিরোধীদলকে অনুরোধ জানালেও তা কাজে আসেনি। ফলে শুরুতেই বাধার মুখে পড়ল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই সমাপনী পরীক্ষা।
এবারের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৩ জন এবং জেডিসিতে তিন লাখ ১৫ হাজার ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।