বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলা যায়। কেননা অতীতে ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও এক সঙ্গে জাতীয় দলের চার খেলোয়াড়কে বহিষ্কারের ঘটনা কখনো ঘটেনি। হকি ফেডারেশন এবার তা দেখিয়ে দিল। হকিতে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি ছাড়াও জাহিদ হোসেন, ইমরান হাসান ও কামরুজ্জামান রানাকে সব প্রকার খেলা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে গতকাল ফেডারেশন কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিভাবে এ কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জিমি, জাহিদ, পিন্টুকে তিন বছর জাতীয় দল ও দুই বছর ঘরোয়া আসরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে রানাকে জাতীয় দলে দুই বছর ও ঘরোয়া আসর থেকে এক বছর বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা খুঁজতে ফেডারেশন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সাবেক তিন খেলোয়াড় কাওসার আলী, মামুনুর রশীদ ও রফিকুল ইসলাম কামালকে নিয়ে গড়া এ কমিটি ১০ দিনের মধ্যে তাদের তদন্তের কাজ শেষ করে প্রতিবেদন ফেডারেশনের কাছে জমা দেয়।
প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর চার খেলোয়াড় ছাড়াও সহকারী কোচ মাহবুব হারুন ও অ্যাম্পায়ার লাকিকে শোকজ দেওয়া হয়েছিল।
সবাই সময় মতো শোকজের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক না হওয়াতে চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হারুন ও লাকিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ ছিল তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। তবে এশিয়া কাপে চার খেলোয়াড় ইচ্ছা করে যেমন নিজেরা খারাপ খেলেছেন তেমনি দলের শৃঙ্খলাও ভেঙেছেন। ফেডারেশন তাদের এ ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি।
ইচ্ছা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপরাধে শাস্তি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খুঁজে পাননি তারা। তাই সর্বসম্মতভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চার খেলোয়াড় তাদের কীর্তিকলাপের জন্য ক্ষমা চাইলে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কিনা সে ধরনের সিদ্ধান্ত বৈঠকে নেওয়া হয়নি। ১৯৭৮ সালে অধিনায়ক মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় দলের ছয় ফুটবলার এশিয়ান গেমসে না যাওয়াতে এক বছরের জন্য সব প্রকার খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাসের মধ্যেই সে শাস্তি প্রত্যাহার করেছিল বাফুফে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।