খুব নিন্ম মানের পচা কিছু লিখি হয়তো বা, আসলে সত্যি বলতে কি পাগলের প্রলাপ ছাড়া অন্য কিছু লিখিনা আমি
ঘুম এসেছিলো চোখে, এমনিতেই সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত প্রীতল, রাত ২ টা চোখে মাত্র ঘুম লেগে এলো এমন সময় ফোন, ফোন টা কেটে দিবে সে, তারপর ঘুমিয়ে যাবে সে, হাজার বছরের ঘুম, একটা স্লিপিং পিল খেয়েছে সে, ফোন টা কাটতে যেয়েও কি মনে করে রিসিব করলো প্রীতল হ্যালো, অপাশ থেকে একটা মেয়ে কন্ঠ ভেসে এলো হ্যালো রহম কেমন আছো তুমি? কন্ঠ টা চিনা চিন আমনে হলো, রহিম ইদানিং স্লিপিং ট্যাবলেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে, না এটা মনে হয় নেশার আসক্তি, তবু এতদিন পরে সুমির কন্ঠ মনে হলো যেনো, এর মধ্যে কেটে গেলো ২ মিনিট হ্যা ভালো আছি কিন্তু কে আপনি? আর কোনো সাড়া শব্দ নাই, হয়তো ফোন টা কেটে গেছে, প্রীতল ফোন এর দিকে তাকালো না ফোন টা কেটে যায়নি, ফোন টা হোল্ড হয়ে গিয়েছে, রহিম আবার সবুজ বাটনে চাপ দিলো ফোন টা আনহোল্ড হলো ওপাশ থেকে ভেসে আসছে মেয়েলি কন্ঠ হ্যালো হ্যালো রহিম আমি আমি শুভ্রা, প্রীতল প্লিজ কথা বলো প্রীতল, প্রীতল ফোন টা রেখে দিলো, নাম্বার টা তে একটা মেসেজ করলো প্রীতল, আমি খুব ক্লান্ত কাল তোমায় ফোন দিবো,
পরদিন সকাল ৭ টা
ক্রিং ক্রিং শব্দ প্রীতল এর ঘুমে ফাটল ধরায়, প্রীতল হাতড়ে ফোন টা নেয়, ভোর ৭ টার সংকেত। প্রীতল এলার্ম অফ করে, নতুন করে এলার্ম দেয় বেলা ৯ টায়। একটা জন প্লেয়ার মুখে তুলে নেয় প্রীতল, সিগেরেট টানা শেষ করে একটু পানি খায় প্রীতল, শুভ্রার কথা মনে পড়ে যায়, শুভ্রা সবসময় প্রীতল কে বলতো সিগেরেট খাবার আগে পানি খাবা, সিগেরেট খেয়ে না, আজ প্রায় ৫ বছড় পর শুভ্রার কথা কেনো মনে পরছে বুঝতে পারছে না প্রীতল, বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছে সে, ঘুম আসছে না তার, ও হ্যা কাল রাতে শুভ্রা ওন করেছিলো এ জন্য হয়তো কিন্তু এতোদিন পর সে কেনো ফোন করলো আর নাম্বার বা কই পেলো ভাবতে না ভাবতেই ফোন আসে রাতের সেই অচেনা নাম্বার থেকে, প্তীতল ফোন টা রিসিব করেনা, তার আরেক টু ঘুমানোর প্রোয়োজন, ঘুম থেকে উঠে তাকে ফোন করা যাবে, আর আগের দিন নেই, নিজেকে কষ্ট দিবার কোনো মানে হয়না, তার থেকে সময় হলে ফোন দিবে প্রীতল শুভ্রা কে, ফোন টা রেখে দিলোনা প্রীতল সে ফোন টা ব্যাক করলো, রিং বাজছে কিন্তু ফোন রিসিব হচ্ছেনা, আধুনিক তথ্য প্রজুক্তির কল্যানে কানে ভেসে আসছে যখন পড়বে না মোর পায়ের চিনহ এই ঘাটে, গান টি প্রীতল এর খুব পছন্দের গান শুধু তাই না গান টি শুভ্রা ও পছন্দ করতো।
ফোন রিসিভ হল কেমন আছো প্রীতল? ভালো আছো তো?
হ্যা ভালো তুমি কেমন আছো?
ভালোই আছি কাল রাতে কথা বললে না কেনো? ভাবি ছিলো পাশে?
প্রীতল চুপ করে আছে, তাকে কি সত্যিটা বলবে প্রীতল না কি না, বললেই বা কিভাবে বলবে, প্রীতল মিথ্যা বলেনা তবু আজ একটা মিথ্যা বলার সিদ্বামত নিলো প্রীতল,
ওপাশ থেকে শুভ্রার কন্ঠ ভেসে এলো কি ব্যাপার কথা বলছো না কেনো?
হ্যা তোমার ভাবি জেগে ছিলো, আর আমার নাম্বারে রাতে ফোন এলে জবাব্দিহিতা করতে হয়, যেমন টা তোমার নিকট করতাম তাই আর কথা বলা হয়নি, যাক কি মনে করে ফোন ?
না মানে এমনি তোমাকে ফোন দেওয়াটা কি অপরাধ? আচ্ছা রাখি ভালো থেকো
ফোন কেটনা শুভ্রা, কিছু বলবে?
হ্যা কিছু কথা বলার ছিলো তাই ফোন দিয়েছিলাম, তোমার কি সময় হবে?
হ্যা বল ফ্রি আছি আমি
নাহ ফোনে বলা যাচ্ছেনা, আমি কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলাম, তুমি কি একটু দেখা করতে পারবে?
কখন?
আমি আজ রাতের বাসে গ্রামে যাচ্ছি যদি হয় তো আজ বিকালে
আচ্ছা আমাকে কোথায় আসতে হবে?
কোথায় আসবা একটা কাজ করো রমনায় চলে এসো ঠিক ৩ টায়
আচ্ছা বলেই প্রীতল ফোন টা রেখে দেয়, একটু ঘুমিয়ে নেয় প্রীতল
ঘুম থেকে উঠে গোসোল করে নামাজ পরতে যায় প্রীতল, বাসায় এসে আর তার রান্না করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা, এখন রান্না করলে শুভ্রার সাথে দেখা করতে দেরি হয়ে যাবে, তাছাড়া প্রীতল এর এমন লাগছে কেনো আজ? সে ত পণ করেছিলো আর কোনোদিন সে শুভ্রার সামনে দাঁড়াবে না, আজ কেন সে পাগলের মত ছুটে যাচ্ছে, ভাবতে ভাবতে শুভ্রার ফোন, হ্যালো
ভাবিকে নিয়ে এসো, সাথে বাচ্চা টা
ওরা বেড়াতে গেছে
ও আচ্ছা তাহলে একাই এসো
শোন তুমি তোমার ফরেনার হাসবেন্ড টা কে নিয়ে এসো, শালাকে মেরেছিলাম একদিন আজ সরি বলে নিবো
কোনো কথা হয়না ওপাশ থেকে, কিছুক্ষন পর শুভ্রা বলে উঠে দেখি পারলে নিয়ে আসবো বলেই ফোন রেখে দেয় শুভ্রা, শুধু তার দীর্ঘশ্বাসে বুঝা যায় এর মাঝে লুকায়িত কিছু আছে।
যাবার পথে রেস্তোরা থেকে খেয়ে নেয় সে, ৩ টা বেজে গেছে প্রীতল এর বরাবরের মতই লেট, এখোনো পৌছাতে প্রায় ২০ মিনিট লাগবে, প্রীতল সাড়জিবন লেট করেছে, আজ ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি, রমনা পার্কের ১ নং গেটে দাঁড়িয়ে ভাবছে শুভ্রা
মাথাভর্তি উস্কুখুস্কু চুল নিয়ে একটা ছেলে দাড়ালো শুভ্রার সামনে, মুখে সেই অমলিন হাসি ঝুলে আছে, কেমন আছো? ভালো।
আমার কথা টা জিজ্ঞেস করবেনা শুভ্রা?
নাহ আর কি জিজ্ঞেস করবো তুমি তো আগের মতই আছো, এখোনো বদলাও নি, চলো বসি, শুভ্র তার হাসি টা একটু প্রসারিত করে ঠিকি কিন্তু চাঁপা একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে , শুভ্রার নজড় এরায় না ব্যাপার টা, তারা দুজন হাটতে থাকে, কোথাও কোনো বেঞ্চ খালি নাই, কোথাও বসা যায়, সামনে একটা বেঞ্চে কিছু পিচ্ছি ছেলে বসে আছে, টোকাই তাদের হাতে ২ টাকা ধরিয়ে দিলে তারা কোনো কথা না বলে বেঞ্চ ছেড়ে উঠে যাবে, আর এই কথাটি শুভ্রা এবং প্রীতল দুজনেই জানে, আগে তারা এইভাবেই বেঞ্চ পেতো, আজ এতোদিন পড় আবার তারা দুজন, সামনে এসে দাড়ালো প্রীতল পকেট থেকে একটা ২ টাকার নোট বেড় করে দিলো প্রীতল, কিন্ত ছেলেটা নিলোনা, চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে ছেলেটি, স্যার ১০ টাকা লাগবো, ৩ জন মিল্লা বিস্কিট খামু একটু আগে এক পোলা ৫ টাকা দিছে ছাড়িনাই, প্রীতল বিরক্ত হল ছেলেটার দুঃসাহস দেখে, আগে প্রীতল কানের নিচে একটয়া চিমটি দিলেই বাচ্চা গুলা পালাতো, একটু দূরে গিয়ে বিশ্রি বিশ্রি গালি দিতো, কিন্তু শুভ্রার কাছে ব্যাপার টা ভালো লাগতো নহা, তাই তাদের ২ টাকার রিতি শুরু হয়েছিলো আর আজ ৫ বছর পরে তা ১০ টাকা, শুভ্র টাকা টা হাতে দিলো বাচ্চা টা তার সঙ্গি নিয়ে পালিয়ে গেলো দৌরে চলে গেলো আর তার মুখে বিস্কিট বিস্কিট বলে উচ্চারিত হচ্ছিলো বারংবার, প্রীতল এর বিরক্তি কেটে গেলো বরং ভালোই লাগছে, বাচ্চা গুলার একটা শখ পূরন হতে চলেছে, চুপচাপ বসে আছে প্রীতল, নিস্তব্দতা কাটালো শুভ্রা
সব আগের মতই আছে তাইনা আমি আর তুমি ছাড়া?
হ্যা হয়তো
কি ব্যাপার তুমি এমন করে কথা বলছো কেনো?
কই নাতো আসলে আজ খুব ক্লান্ত এ জন্য হয়ত
ও যাই হোক ভাবি কেমন আছে?
ভালো
প্রীতল সত্যি বিয়ে করেছো তুমি?
কি মনে করো তুমি অন্য ক্লাউকে নিয়ে করে সুখে থাকতে পারলে আমি পারবোনা? জগতের সব সুখ কি তোমাদের জন্য? আমাদের জন্য কি নেই? আমরা কি মানুষ না? নাকি পুরুষ নামক এক জড় বস্তু কোনটা?
প্রীতল আমার সাথে রাগ দেখিয়ে কথা বলবানা, তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি রাগ পছন্দ করিনা, আমি তোমাক জিজ্ঞাসা করতেই পারি, তাই বলে এতো উত্তেজিত হয়ে কথা বলবে তুমি? আমি গেলাম, শুভ্রা উঠে দাঁড়ায় চলে যাবার জন্য, প্রীতল হাত ধরে টান দেয় তার, হটাথ কান্না চলে আসে শুভ্রার, চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে তার'
দুজনে পাশাপাশি বসে যাই হোক তোমার স্বামির কি খবর বলো
আমি বিয়ে করনি এখোনো
মানে মানে কি কি বলতে চাও শুভ্রা?
কিছুই না, আমার স্কলারশিপ পাবার কথা ছিলো আমি পাইনি, তাছাড়া বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল টা যে আমায় ধরতে হয়েছিলো তাই বলেই কান্না করে উঠে শুভ্রা
এ জন্য কি সেই শ্বেতাঙ্গ কে বিয়ে করেছিলা? তা ভালোই তো এখন খুব সুখেই আছ তাইনা
প্রীতম আমি তোমাকে আবারো বলছি আমি বিয়ে করিনি, তুম ই কি শুনবে আগে আমার কথাগুলা?
হ্যা বলো
আমার এক মামা সে সময় আমেরিকা থাকতেন, উনি আমার জন্য জব এর ব্যাবস্থা করেছিলেন, কিন্তু যাবার মত পর্যাপ্ত অর্থ ছিলোনা আমার আর তাই
আর তাই কি? একটা শেতাঙ্গ কে নিয়ে ঘর করলে? উত্তেজিত হয়ে পরে প্রীতল
প্রীতল আমার কথা না শুনলে আমি তোমার সাথে কথা বলতে আগ্রহি না, আর তাছাড়া তুমি বিবাহিত, আমি বলতে চাচ্ছি তুমি শুনবে, জেলাস এর কি আছে?
কিছু নাই, তবু প্রতারনা
না আমি প্রতারনা করিনি, তুমি কি ঝগড়া করবে নাকি আমার কথা শুনবে?
বলো
লোক টা আমার ভার্সিটির এক বন্ধুর পার্টনার, তার সাথে আমি কন্টাক্ট ম্যারেজ করি, বিনিময় ছিলো সে আপাদত আমার আমেরিকা যাবার খরচ এবং ভিসার ব্যাবস্থা করে দিবে, তারপর আমি সেখানে গিয়ে তার টাকা পরিশোধ করে দিবো এই যা, কিন্তু তার সাথে আমার কিছুই হয়নি
আমাকে তুমি বলতে পারতে কথাগুলা কিন্তু বলোনি, আমি জেলে ছিলাম , প্রতিটা রাত আমি কেদেছি, ভেবেছি সকাল হলেই তুমি আসবে দেখা করতে, না তুমি আসোনি
আমি মাত্র ৩ দিনের মাথায় সব কাজ গুছিয়েছিলাম, আমেরিকা যাবার পর অনেক চেষ্টা করেছি তোমার খোজ নিতে পারিনি, কাল দেশে এসেই প্রিয়াঙ্কার সাথে দেখা হলো , তুমি নাকি ওদের ফ্যাক্টরিতে কাজ করো, আজ তোমার একটা ফ্যাক্টরির মালিক হবার কথা ছিলো প্রীতল
হতাম তুমি থাকলেই হতাম কিন্তু তুমি ছিলেনা
যাই হোক ভাবি দেখতে কেমন বলোতো? তার কি আমার মত চিবুকে তিল আছে?
কিছুই বলতে পারেনা প্রীতল চোখ বেয়ে অশ্রু নেমে আসে তার
চলবে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।