আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাইরে মুকাল্লিদদের গোমর ফাক!

লিখলাম

গাইরে মুকাল্লিদদের দুটি পরিবর্তন ও তাদের মতানুসারীর একটি ঘটনা। এক : বিশ্বজুড়ে আকিদার ক্ষেত্রে তিনটি সঠিক মত প্রচলিত আছে, যার প্রতিটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। আশয়ারিয়া, মাতুরিদিয়া ও সালাফিয়া। আশয়ারিয়া আকিদার অনুসারী শাফেয়ী ও মালেকী মাযহাবের লোকেরা। মাতুরিদিয়া মতানুসারী হানাফিরা।

আর সালাফিয়া মতের অনুসরণ করেছেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল র:। কিন্তু তার পরে তার অনুসারীরা আকিদার ক্ষেত্রে চরমপন্থার শিকার হয়। এবং যেহেতু আরবের লোকেরা সাধারণত হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী তাই তারা আকিদার ক্ষেত্রে সালাফী। কিন্তু সেটা এক বিকৃত সালাফিয়্যাত। আমাদের উপমহাদেশের গাইরে মুকাল্লিদরা সৌদি আরবে পেট্রোল আবিষ্কার হবার আগ পর্যন্ত ছিল আশয়ারিয়া কিন্তু পেট্রোল আবিষ্কার হবার পর রাতারাতি ডিগবাজি খেয়ে তারা হয়ে যায় সালাফী! তবে তারা (রিয়েল )সালাফিয়্যাতের আচকান গায়ে চাপায় নি, চাপিয়েছে (রিয়াল) সালাফিয়্যাতের আচকান! নয়তো সৌদি থেকে রিয়াল আসবেনা যে!                                                                                    দুই :সালাফিয়্যাতের সাথে আশয়ারিয়া ও মাতুরিদিয়াদের মূল বিরোধ হল, আশয়ারি ও মাতুরিদিরা আল্লাহ, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদির যৌক্তিক ব্যাখ্যা পেশ করে থাকেন।

পক্ষান্তরে সালাফীরা কোন ধরনের ব্যাখ্যার পক্ষে না। ইমাম আহমদ র : থেকে এ জন্যই এসব আয়াত, হাদীস সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। অমুক -তমুকের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যা আহমদ র :এর নামে চালানো হয় কিন্তুু তার লিখিত কিতাবাদিতে এসব নেই। আশ্চর্যের বিষয় হল, তার মৃত্যুর পর হাম্বলীরা পুরোপুরি বিপরিত মেরুতে অবস্থান নেয়। যেখানে আহমদ র :কোন ধরনের ব্যাখ্যার পক্ষে ছিলেন না সেখানে তার অনুসারীরা এমনসব ব্যাখ্যা দিতে শুরু করে যা সরাসরি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উল্টো! এবং একটি বাতিল ফের্কার মতের অনুরূপ।

  তারা বলতে লাগে, আল্লাহ মানুষের মত আসমানে সমাসিন!(ইবনে তাইমিয়া এই মতানুসারীদের পুরোধা)  যা নাকি বাতিল ফের্কা মুজাসসিমাদের মত। আর আমাগো দেশি গাইরে মুকাল্লিদরা বাতাস বুঝে হেলে থাকে। তাই তারা অত্যন্ত চতুররতার সাথে দ্বিতীয় মতটি গ্রহণ করেছে, কারণ বর্তমান আরবরা এর অনুসারী। কিন্তু নাম লাগিয়েছে সালাফী! মূলত তারা সালাফী না বরং সালাফী নামধারী প্রতারক। এটাই শিওর।

                                                                                        একটি ঘটনা :ইবনে বতুতা তার সফরনামায় লিখেছেন (যেটি অতীত বিশ্বের একটি স্বচ্ছ আয়না, কোন ঐতিহাসিক এর উপর আপত্তি করেন নি) তিনি সিরিয়ার এক মসজিদে নামাজ পড়ার পর এক লোক মিম্বরে উঠে বসল। সে আল্লাহর গুনাবলী সম্পর্কে আলোচনা শুরু করল। এক শ্রোতা উঠে প্রশ্ন করল, আল্লাহ কিভাবে নড়াচড়া করেন? বক্তা জবাব না দিয়ে মিম্বার থেকে হেটে নেমে আসল। এবং বলল, এভাবে আল্লাহ হাঁটাচলা করেন! জনগন তাকে ধরে আচ্ছামত রামধোলাই দিল! বতুতা জিজ্ঞেস করলেন, এটা কে? লোকেরা বলল, ইবনে তাইমিয়া!!!!!!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.