আরডুইনো ব্যবহৃত কোন সিস্টেম পরিচালিত হয়, আরডুইনোতে লোড করা প্রোগ্রামের ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী। তাই আরডুইনো ব্যবহার করে কোন সিস্টেম তৈরি করতে গেলে আমাদেরকে আরডুইনো তে কিভাবে প্রোগ্রাম লোড করতে হয়, কিভাবে প্রোগ্রাম লেখতে হয়, কোন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লেখতে হয় ইত্যাদি বিষয় সমূহ জানা আবশ্যক। আর এই সবগুলো কাজ করা হয় আরডুইনো IDE ব্যবহার করে। গতপর্বে আমরা arduino.cc ওয়েব সাইট থেকে আরডুইনো IDE অর্থাৎ ইন্ট্রিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট এনভাইরোনমেন্ট ডাউনলোড করেছি। আজ আমরা আরডুইনো IDE এর বেসিক ইন্টারফেস পরিচিতি সম্পর্কে জানব।
আরডুইনো IDE এর বেসিক ইন্টারফেস পরিচিতি
আপনি যদি আরডুইনো IDE ওপেন করেন তাহলে উপরের ছবির মত দেখতে পাবেন।
আরডুইনো IDE এর ইন্টাফেসে কয়েকটি অংশ রয়েছে।
মেনুবার
প্রতিটা সফটওয়্যারেই একটা মেনুবার থাকে। যেখান থেকে ফাইল ওপেন করা যায়, নতুন ফাইল তৈরি করা যায়, Save করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন টুলস সমূহ ইত্যাদি মেনু সমূহে থাকে।
আরডুইনো IDE তেও একটা মেনুবার রয়েছে যেখানে File Edit Sketch Tools Help নামে পাঁচটি মেনু রয়েছে।
File মেনুব্যবহার করে ফাইল Open, New, Save, Example সমূহ Open করা, প্রোগ্রাম আপলোড করা, প্রিন্ট করা ইত্যাদি কাজ করা হয়।
Edit মেনু ব্যবহার করে Undo, Redo, Cut, Copy, Pest, Find, Comment যুক্ত করা ইত্যাদি করা যায়।
Sketch মেনুব্যবহার করে প্রোগ্রাম কম্পাইল/ভেরিফাই করা, sketch ফাইল ওপেন করা, প্রোগ্রামে যদি কোন লাইব্রেরি ব্যবহার করতে হয় তাহলে সেগুলো যুক্ত করা যায়। আরডুইনো IDE ব্যবহার করে যখন কোন প্রোগ্রাম লেখার পর Save করা হয়, তখন তা example.ino অর্থাৎ .ino এক্সটেনশন যুক্ত ফাইল হিসেবে Save হয়।
এই .ino এক্সটেনশন যুক্ত ফাইলকে sketch ফাইল বলে।
Tools মেনুব্যবহার করে আরডুইনো বোর্ড সিলেকশন, সিরিয়াল পোর্ট সিলেকশন অর্থাৎ আপনার আরডুইনো বোর্ডটি কোন পোর্টে যুক্ত আছে তা আইডিই কে নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন, সিরিয়াল মনিটর অর্থাৎ সিরিয়াল কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত ডাটা প্রদর্শন করতে এবং পাঠাতে ব্যবহৃত টুলটি ওপেন করতে পারেন। এছাড়া প্রয়োজনে প্রোগ্রামার সিলেকশন করা যেতে পারে। এছাড়া প্রোগ্রামের বিভিন্ন লাইন সুন্দর করে সাজাতে অটো ফরমেট করা যায়।
টুলবার
মেনুবারের ঠিক নিচে একটা টুলবার থাকে।
যে সকল টুল সমূহ বেশি প্রয়োজন হয় সেগুলো এই টুলবারে রয়েছে।
টুলবারটিতে পর্যায়ক্রমিকভাবে Verify Upload New Open Save এবং বামদিকে Serial Monitor টুল সমূহ রয়েছে।
টেক্সট এডিটর
টেক্সট এডিটর ব্যবহার করেই প্রোগ্রাম লেখা হয়। আরডুইনোর এই অফিসিয়াল আই ডি ই তে
প্রসেসিং নামে একটা হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লেখা হয, যার সাথে প্রোগ্রামিং সি এর অনেক মিল রয়েছে এবং ল্যাঙ্গুয়েজটি খুবই সহজ।
একটা বেসিক প্রোগ্রামের উদাহরণ
int led = 13;
// the setup routine runs once when you press reset:
void setup() {
// initialize the digital pin as an output.
pinMode(led, OUTPUT);
}
// the loop routine runs over and over again forever:
void loop() {
digitalWrite(led, HIGH); // turn the LED on (HIGH is the voltage level)
delay(1000); // wait for a second
digitalWrite(led, LOW); // turn the LED off by making the voltage LOW
delay(1000); // wait for a second
}
ম্যাসেজ বক্স
কোড এডিটরের নিচে একটা ম্যাসেজ বক্স রয়েছে।
যার মাধ্যমে বিভিন্ন ম্যসেজ যেমন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কম্পাইল হলে Done Compiling প্রদর্শন করে।
কনসোল এরিয়া
ম্যাসেজ বক্সের ঠিক নিচে একটা কনসোল এরিয়া রয়েছে এখানে প্রোগ্রামের সাইজ এবং প্রোগ্রাম সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শিত হয়। যেমন Binary sketch size: 1,084 bytes (of a 32,256 byte maximum।
………………………………………………………………………………..
জ্ঞন বিজ্ঞানের সংস্পর্শে আলোকিত একটা সুন্দর সমৃদ্ধ পৃথিবীর প্রত্যাশায় আজ এখানেই শেষ করছি। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
বাংলা ভাষায় আরডুইনো টিউটোরিয়াল কেমন লাগছে সবার , জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
পোস্টটি ইতোপূর্বে এখানে প্রকাশিত
পোস্টটির মূল লেখক টিউটোহোস্ট টিম সদস্য
অসীম কুমার
সৌজন্যে : টিউটোহোস্ট
অসীম কুমার
অসীম কুমার ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়(DUET)এ EEE তে লেখাপড়া করেন। তিনি টিউটোরিয়ালবিডি ,টেকটিউনস , বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্লগে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট , মাইক্রোকন্ট্রোলার, ইলেকট্রনিক্স ও টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ, টিউটরিয়াল এবং ই-বুক লিখেছেন। আপনারা তাকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে যোগ করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।