"হাউ টু প্রপোজ এ সুন্দরী"_এই টপিক লইয়া 18 বছরের সুদীর্ঘ জীবনে বিস্তর গবেষনা করিয়াছি। বন্ধুগনকে নতুন নতুন পরামর্শ দিতাম আর তাহারা ঐ পরামর্শের ব্যবহারিক প্রয়োগে ধন্য হইয়া যাইত!সকলে বলিত,"আবিদ জিনিয়াস পোলা ই বটে,,জাগতিক কর্মকান্ডে সফল হইবার পাশাপাশি তরুনী বশীকরনেও সিদ্ধহস্ত হইয়াছে!! "!তবে দুঃখের বিষয় হইল,,এই জিনিয়াসের কোন প্রেমিকা ছিলনা :-( (এখনো নাই ;-))!
যাহা হউক,অবশেষে এক স্কুলছাত্রীরে মনে ধরিল। তাহার শারীরিক গড়ন অনেকটাই প্রিয়ঙ্কা এবং চেহারাখানি দীপিকা পাডুকোনের মতন ছিল। কিন্তু তাহাকে কিছুতেই প্রপোজ করিতে পারিতেছিলামনা। প্রপোজ করিবার নিমিত্তে তাহার সামন উপস্থিত হইলেই "হাউ টু প্রপোজ" সম্বন্ধীয় সকল জ্ঞান ই ক্ষনকালের জন্য বিস্মৃত হইয়া যাইত!জাহিদ নামে এক বিশ্বরোমিও আমার ঘনিষ্ঠবন্ধু ছিল।
প্রপোজ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে তাহার শরনাপন্ন হইলাম!বিশ্বরোমিও বলিল-"ইহা কুনো কতা??!আগামীকল্য আমার লগে প্রপোজ করিতে যাইবে!"
যাহা হউক আশান্বিত হইলাম!
পরদিন সকালে জাহিদকে দেখিয়া কিছুটা টাস্কি খাইলাম!তাহার বেশভূষা দেখিয়া মনে হইল-প্রপোজ আমি নয় বরং জাহিদ ই করিবে!!তালিমারা জিন্সের ফুটো দিয়া তাহার ফর্সা উরু দেখা যাইতেছিল!আমরা জহিরের দোকানের সম্মুখে অপেক্ষা করিতেছিলাম।
সকাল আটটায় তরুনী কোচিংয়ে যাইবারকালে জহিরের দোকান অতিক্রম করে। জহিরের দোকানের কাছাকাছি তাহাকে দেখিয়া বুকের ভিতর ভুমিকম্প চলিতে লাগিল। আমি নিশ্চিত ঐ কম্পনে কয়েকটা রানা প্লাজা ভাঙিয়া পড়িত!!তরুনী আমাকে দেখিয়া প্রতিদিনকার সেই রহস্যময় হাসি দিল!অতঃপর তরুনী জহিরের দোকান অতিক্রম করিল কিন্তু আমি সেই বোবাটিই হইয়া রহিলাম!জাহিদ আমার পশ্চাতদেশে একখানা লাত্থি বসাইয়া দিয়া বলিল,"চল,পিছু নিই!" ভয়ে ভয়ে পিছু পিছু হাটিতেছিলাম। একটু পরই জাহিদ বলিল,",এই সোনিয়া!দাড়াও তো"
সোনিয়া এমন একখানা ভাব ধরিল যেন সে বধির!এরপর আবারো জাহিদ বলিল-ঐ,এত ভাব নাও ক্যালা?শেষ পর্যন্ত তো বাড়ির থালা বাসন ই মাজবা!
সোনিয়া এখনো চুপ!
জাহিদ--ঐ আবিদ,,এই মাল তো দেখি বুকিং করা হয়ে গেছে,,নতুন মাল ধর"--ইহা বলিয়া হাসি দিল!এবং সাথে সাথে সোনিয়ার পাদুকা জাহিদের মুখমন্ডলে একবার সজোরে ছোঁয়া দিয়া গেল!!
এই অভিজ্ঞতা জাহিদের জন্য নতুন নয়,,গত তিনবছরে কম হলেও দশটা তরুনীর জুতা(পাদুকা) জাহিদের মুখমন্ডলের ছোয়া পাইয়াছে!!
আর আমি হাদারামকে কয়েক দফা বক্তৃতা শুনাইল সোনিয়া!!কাপুরুষ ও ডাকিল!!ইহা আমার সহ্য হইলনা,,বলিলাম-"নিজেকে কি মনে করিয়াছ??তুমাকে জাহিদ ভালবাসে ; আমি না!!"
ইহা শুনিয়া সোনিয়া প্রস্থান করিল।
এরপর তাহার চেহারাখানি আর দৃষ্টিগোচর হয়নাই। শুনিয়াছি,তাহার পিতা বদলি হইয়াছে!!
এইভাবেই আমার প্রথম প্রপোজকাহিনীর নির্মম সমাপ্তি ঘটিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।