বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারষ্টিার মওদুদ আহমেদসহ কেন্দ্রীয়নেতাদের আটককের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতা কর্মীরা। এসময় তারা দুইটি গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ সহ ব্যাপক ভাংচুর এবং শতাধিক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদকে আটককের প্রতিবাদে তার নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে শনিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে উপজেলা বিএনপি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম ও কবিরহাট পেৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দু'উপজেলায় হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, জানা গেছে, গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে জেলা শহর মাইজদীতে জেলা বিএপির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ আজাদের ও এড. শাহাদাতের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল বের করে আল-আমিন সুগন্ধা সার্ভিসের দুইটি বাসে আগুন, উপকূল এক্সপেসের একটি বাস, ৩টি সিএনজি, ১টি মাইক্রোবাস ও ২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে বিএনপির নেতা কর্মীরা।
এদিকে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অন্তত ৩০টি মত ককটেলের বিষ্ফোরণ, ১০টি সিএনজি, ৫টি ট্রাক ও ২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর এবং বিভিন্ন সড়কে অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপির নেতা কর্মীরা।
অপরদিকে জেলার কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট বাজার, চাপ্রাশিরহাট বাজার, করমবক্সবাজার, মিয়ারহাট বাজার, কালিরহাট, ভূঁইয়ারহাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাশকতা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, ঝটিকা মিছিল থেকে ভাংচুর এবং ককটেল বিষ্ফোরণ করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। নাশকতা এড়াতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।