শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ওই পাঁচ নেতা রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে কোনো বিএনপি নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি।
শুক্রবার বিকালে হরতালের ঘোষণা দেয়ার পর রাতে কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মিয়াকে।
পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। মধ্যরাতে আটকের পর সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে।
তাদের কী কারণে আটক করা হয়েছে কিংবা কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান শনিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের ‘যথাসময়ে’ আদালতে পাঠানো হবে।
কোন মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হবে, সে বিষয়ে এখনি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কাউকে আদালতে হাজির করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিএনপি নেতাদের আটকের পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হরতাল ঘিরে বিরোধী দলের নাশকতার প্রেক্ষাপটে সরকার গ্রেপ্তারের মতো পদক্ষেপ নিতে ‘বাধ্য’ হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় মওদুদ নির্দলীয় সরকারের দাবিতে হরতালের পর অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেন।
এরপর বিকালে ১৮ দল তিন দিনের হরতালের ঘোষণা দেয়। তারপর রাতে বিএনপি নেতাদের আটক করা হয়।
এই আটকের পর বিভিন্ন স্থানে রাতেই ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শনিবার হরতাল ডাকা হয় বিএনপি এলাকাদের নির্বাচনী এলাকায়।
বিএনপি বলছে, শীর্ষ নেতাদের অবিলেম্বে মুক্তি দেয়া না হলে তাদের তিন দিনের হরতাল আরো দীর্ঘায়িত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।