আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচ নেতার রিমান্ডের শুনানি বৃহস্পতিবার

বিএনপির পাঁচ নেতা মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। আজ শনিবার বিকেলে মহানগর হাকিম জয়নব বেগম এ আদেশ দেন।

বিএনপির এই পাঁচ নেতাকে পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু যথাযথ কাগজপত্রসহ আবেদন না করায় বৃহস্পতিবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে আজ বিকেলে পাঁচ নেতাকে নিয়ে পুলিশ রাজধানীর মিন্টো রোডে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয় থেকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়।

রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের দুটি মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ওই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, মতিঝিল থানায় ৫ নভেম্বর দায়ের করা ১৬ নম্বর মামলা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর দায়ের করা ৪৪ নম্বর মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের সামনে থেকে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও এম কে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বের হওয়ার পর রাত একটা ১০ মিনিটে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট এ সপ্তাহে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই এ ধরপাকড় শুরু হয়।

এ ছাড়া গত রাতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাঁরা বাসায় ছিলেন না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের বাসা ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও আটকের চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে।

রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় ও বাসার আশপাশে এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের এমন আচরণকে অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হরতাল করে মানুষকে খুন ও খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির এসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, যারা হরতাল ডেকে মানুষ খুন করবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।