বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা টানা ৮৪ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন রোববার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পতন বুঝতে পেরে সরকার এখন মরন কামড় দিয়েছে। তারা জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ”
বিরোধী দলীয় নেতার গুলশানের বাসা ও নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয় পুলিশ ‘অবরুদ্ধ’ করে রেখেছে বলেও রিজভী অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এভারে ধরপাকড় ও গ্রেপ্তার করে নির্দলীয় সরকারের আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণের অভ্যুত্থান ঠেকানো যাবে না।
”
অন্যান্য হরতালের মতো রোববারও সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। কাছেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান ও জল কামানের গাড়ি।
বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেতর থেকে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যান্য হরতালে কিছু নেতা-কর্মী আগে থেকেই কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নেন। এবার তাদেরও কাউকে দেখা যায়নি।
রিজভীর অভিযোগ, পুলিশ কোনো নেতা-কর্মীকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার ভোর ৬টা থেকে ১৮ দলীয় জোটের এই হরতাল চলছে, চলবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা।
এর আগে ২৭-২৯ অক্টোবর এবং ৪-৬ নভেম্বর দুই দফায় মোট ছয় দিন হরতাল করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
অন্যান্য হরতালের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এলেও এবার রিজভী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজভী বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিরাপদ স্থানে আছেন।
তিনি দলের সব পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আন্দোলনের নির্দেশনা দিচ্ছেন। ”
রিজভী দাবি করেন, সরকারের নানা ‘কূটকৌশলের’ পরও সারাদেশে সর্বাত্মক হরতাল হচ্ছে।
“বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের কাছে যে খবর আসছে, জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল করছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।