নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার এমেকার হ্যাটট্রিকে শেখ জামাল এই বড় জয় ঘরে তোলে। এছাড়া হাইতির স্ট্রাইকার ওয়েডসন অ্যানসেলমে এবং স্ট্রাইকার শাখাওয়াত হোসেন রনি একটি করে গোল করেন। আর আবাহনীর পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন স্ট্রাইকার সোহেল রানা।
প্রস্তুতি ম্যাচে দলের এই হারে চরম হতাশ হয়েছেন আবাহনীর অস্টেলিয়ান কোচ নাথান হল।
“আমার দলের বিদেশী খেলোয়াড়রা খুব একটা মানসম্পন্ন নয়, যা দুদলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
এটিই হারের অন্যতম প্রধান কারণ। ”
“সে তূলনায় প্রতিপক্ষ দলের বিদেশী খেলোয়াড়রা খুবই উচুমানের। বিশেষ করে হাইতির দুই স্ট্রাইকার সনি নরদে ও ওয়েডসন যে কোনো ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। অবশ্য আমাদের প্রস্তুতিটা খুব বেশিদিনের নয়। তারপরও খুব একটা ভালো খেলেনি দল”, যোগ করেন আবাহনী কোচ।
আবাহনীর বিপক্ষে এই জয়ে খুবই খুশি শেখ জমালের নাইজেরীয় কোচ জোসেফ আফুসি। তিনি বলেন, “গত দুই মাসের প্রস্তুতিতে দল একটা গোছানো অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে এই ম্যাচে। তাছাড়া প্রতিটি বিভাগে বেশ কয়জন ভালো মানের ফুটবলার রয়েছে, যারা পারে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে। ”
“আমি আশাবাদী, এই দল নিয়ে এই লিগের সবকটি শিরোপা জিতবো।
শুধু শেখ জামালের জন্যই নয়, আমার কোচিং ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতেও এই শিরোপা জেতা খুবই প্রয়োজন”, যোগ করেন তিনি।
এই ম্যাচটি দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। তিনি বলেন, “এই দুই ক্লাবে আমার দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় রয়েছে। তারা কী অবস্থায় আছে তা দেখাটা খুবই জরুরি ছিল। সে কারণেই ম্যাচটি দেখতে এসেছি আমি।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।