কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা এখন প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সময় আসলেই খুব অল্প। তারপরেও যে কয়দিন এখনো বাকি আছে, ততদিনে অন্তত কিছু প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। একেবারে শূন্য প্রস্তুতির চেয়ে সামান্য কিছু থাকাটা ভাল। প্রস্তুতি নেওয়ার ধরনটা আসলেই কি রকম হওয়া উচিত? প্রস্তুতিটা দুইরকমের হতে হবে। এক হচ্ছে শারীরিক অন্যটা হচ্ছে মানসিক (আধ্যাত্মিক).
এই দুই প্রস্তুতি একসাথে করার একটা বড় উপায় হচ্ছে রমাদান মাসের আগের মাসে অর্থাত শাবান মাসে বেশি বেশি করে রোজা রাখা।
রোজা রাখলে একদিকে যেমন শারীরিক প্রস্তুতি অন্যদিকে মানসিক প্রস্তুতি হয়। কারন আল্লাহ রোজাটাকে ডিজাইন করছেন এইভাবে যাতে আমাদের দুইদিকেই উপকার হয়। । আর এই প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় উদাহারণ হল স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সঃ) । রাসুলুল্লাহ (সঃ) রমাদান মাসের পরে সবচেয়ে বেশি রোযা রাখতেন শাবান মাসে।
কেন? কারন এটা হচ্ছে প্রস্তুতির একটা অংশ। এমনকি আমাদের মধ্যে অধিকাংশই রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর এই সুন্নত সম্পর্কে জানিও না যে, তিনি শাবান মাসে অনেক বেশি রোযা রাখতেন রমাদানের প্রস্তুতি হিসেবে। রাসুলুল্লাহ (সঃ), যিনি সারা বছর ধরে নিয়মিত রোজা রাখতেন, তিনিই যদি রমাদানের প্রস্তুতি হিসেবে শা`বান মাসের অধিকাংশ দিন রোজা রাখতেন তাহলে আমাদের কি রকম হওয়া উচিত? আমি নিশ্চিত আমরা কেউ এই রকম প্রস্তুতি নেই নিই। আলহামদুলিল্লাহ, হয়তো আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন নিয়মিত সোমবার এবং বৃহ্স্প্তিবার অথবা চাঁদের ১৩,১৪,১৫ রোজা রাখে কিন্তু এর সঃখ্যা অনেক অনেক কম। এখনও আমাদের হাতে যে কয়েকদিন সময় আছে এবং বিশেষ করে সামনের সোমবার এবং বৃহঃস্প্তিবার, চেষ্টা করা যায় এই দুই দিন রোজা রাখা যাই কিনা।
রমাদান মাস শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমরা গান বাজনা, মুভি, আড্ডা এইসব বন্ধ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে, দিনে এক জুজ (পারা) করে কোরআন পড়া শুরু করে দিতে পারব তার কোন নিশ্চয়তা নেই যদি আগে থেকেই এটার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি না নিই। ক্লাসের সময় কখ্ন, অফিসের সময় কখন, পড়াশোনার সময় কখন হবে, দিনের কোন সময় কোরআন পড়তে হবে, তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য কয়টায় উঠতে হবে, এই গুলোর জন্য সত্যি সত্যি প্রস্তুতি দরকার আগে থেকেই।
পরীক্ষার হলে যাবার আগে আমরা অবশ্যই এই সব প্রস্তুতি নিয়েই যাই। কলম, পেন্সিল, পানির বোতল, ইরেজার, স্কেল, ক্যালকুলেটর সব । অনেক দিন আগে থেকেই বিনোদন সব বন্ধ করে প্রস্তুতি নিই।
পরীক্ষার হলে যাবার আগে সব বার বার চেক করে নিই, যাতে হলের ভিতরে কোন রকম অসুবিধা না হয়। শুধু একটানা লিখে যাওয়া ।
সামনের এই বিশাল পরীক্ষার জন্য কি আমরা সামান্য প্রস্তুতি নিতে পারব না? চলুন একটু চেষ্টা করে দেখি। (চলবে)
( অফ টপিক - এই লিখাটা রমাদান নিয়ে আমার অনূভুতির বহিঃপ্রকাশ। আমার নিজের ধর্মীয় নলেজ খুব কম।
যতটুকু জানি ততটুকু অন্যদের জানানোর চেষ্টা করি। আর রমাদান নিয়েই আমি সব সময় একটু বেশী উত্তেজিত এবং সব্সময় চেষ্টা করি আমার প্রিয় মানুষ গুলোকে একটু সচেতন করতে । এই লিখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার নিজের প্রস্তুতি ভাল করা আর এর মাধ্যমে অন্য কারো যদি কোন উপকার হয়!!) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।