শেরপুরের বধূ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে গত পাঁচ বছরে একবারের জন্যও কাছে পায়নি শেরপুরের মানুষ।
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর দিন ৩০ ডিসেম্বর শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের নবনির্বাচিত এমপি মতিয়া চৌধুরীকে সর্বশেষ দেখা যায় শেরপুর জেলা প্রশাসকের অফিসে। এরপর মহাজোট সরকারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা নকলা-নালিতাবাড়ীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আর পা রাখেননি শেরপুরে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিরোধী দলে থাকতে মতিয়া চৌধুরীই শেরপুরে আওয়ামী লীগের মূল খুঁটি হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে একবারও তার মুখ দেখার সুযোগ হয়নি শেরপুরবাসীর।
ক্ষমতার ৫ বছরে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী একটিবারের জন্য নিজ নির্বাচনী এলাকায় না আসায় তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ এলাকাবাসী।
দলের ভেতরে-বাইরে লোকজন বলাবলি করছেন, অভিমান করে না কি শেরপুরে আসছেন না তাদের পুত্রবধূ মতিয়া চৌধুরী। মূলত সদরের এমপি আতিউর রহমান আতিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণেই মনোকষ্টে শেরপুরমুখী হননি তিনি।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মতিয়া চৌধুরীর সুপারিশেই তরুণ আতিককে শেরপুরর সদরের আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তার আশীর্বাদ থাকায় ২০০১ ও ২০০৮ এ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে অসুবিধা হয়নি আতিকের।
কিন্তু নবম সংসদ নির্বাচনের পর নানা কারণে তাদের মধ্যে শীতল সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ২০০৯ সালে মতিয়া চৌধুরীর স্বামী বিশষ্টি সাংবাদিক বজলুর রহমানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শেরপুর শিল্পকলা একাডেমিতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এর দাওয়াতপত্রে আতিকুর রহমানের নাম অতিথির তালিকায় না থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন। এ ঘটনায় আতিকের ওপর ভীষণ অভিমান করেন মতিয়া চৌধুরী। এরপর আতিক-বিরোধীরা কৃষিমন্ত্রীকে আর মতিয়া-বিরোধীরা আতিককে কান ভারী করতে থাকে।
ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়ে যায়। গত বছর শেরপুর ভিক্টোরিয়া একাডেমির ১০০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রীকে আনার বহুচেষ্টা করা হলেও তিনি আসেননি। অনেক অনুনয়-বিনয় করেও শেরপুরের বধূর মান ভাঙাতে পারেননি দলের স্থানীয় নেতারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।