আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সর্বকালের সেরা কয়েকটি শ্বাসরুদ্ধকর অসাধারণ কিছু মুভির গল্প শুনুন।

আমি এক কথায় স্বপ্নবাজ........স্বপ্ন দেখি সাইক্লোন হয়ে উড়িয়ে দেই ক্লেদ,পরতে চাই মহাকালের নবীনযোদ্ধার সাজ। চারটি মুভির গল্প শোনাচ্ছি,মুভিগুলো সর্বকালের সর্বসেরা যেকোন তালিকায় থাকার কথা চোখ বুঝে। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের অসাধারণ রোমাঞ্চকর,জমজমাট কাহিনী,আর অপূর্ব মন কেড়ে নেওয়া অভিনয়শৈলী আপনাকে মুভিগুলো সুপার গ্লুর মত আটকে রাখবে। গ্যারান্টি দিচ্ছি খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত কাটাওবে আপনার। তাহলে আসুন গল্প গুলি শোনা যাক।

La Haine : মুভির সময়কালঃ ১৯৯৫ আইএমডিবি রেটিং ৮.১ অসাধারণ একটা ফ্রেঞ্চ মুভি এটি। শহরে পুলিশের সাথে আমজনতার মারামারি,দাঙ্গা চলছে, এইভাবে মুভিটার শুরু। পুলিশের হাতে আবদেল গুরুতর আহত হয়েছে এরুপ খবরে সারা শহরে আগুন জ্বলে ওঠে। এরুপ উত্তপ্ত সময়ের তরুণ তিন বন্ধু সায়িদ,হুবার্ট,ভিঞ্জ কে নিয়ে পুরো মুভির কাহিনী। তিনজনের আড্ডাবাজী, টো টো করে চক্কর মারা চলে আর বুকের মধ্যে পুলিশের প্রতি সীমাহীন ঘৃণা।

রায়টের সময় পুলিশের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটা পিস্তল খুজে পায় ভিঞ্জ। এরপর থেকে ওদের মাথায় ভুত চাপে পুলিশ মেরে আব্দেলের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নিবে। গরম মাথার ভিঞ্জকে সামলে রাখতে রাখতে ঘটনার টুইস্টে জেলে যায় সায়িদ। মাথা গরম ভিঞ্জের কাছ থেকে পুলিশ কোনক্রমে রক্ষা পেলেও শেষ পর্যন্ত ভিঞ্জদের কি হয় ? শেষ মুহুর্তে হুবার্টের পিস্তল থেকে গুলি বের হয় নাকি সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তা চোখ বন্ধ সায়িদ দেখে না। আপনার জন্য পুরো মুভি জুড়ে চলতে থাকা ক্লাইমেক্স এর শেষ ধাক্কাটা।

প্রাণবন্ত ,সাবলীল অভিনয়। মুভি দেখতে দেখতে এক সময় মনে হইছে,শালা ভিঞ্জরে গিয়া একটা থাপড়া দেই,এত ফাল পাড়ে কেন? সায়িদ পোলাডা এত ভাল। দেখুন অসাধারণ এই মুভিটি। টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ Click This Link Scarfaceঃ ১৯৮৩ সালের মুভি। আইএমডিবি রেটিং ৮.৩ টনি মন্টানা...............নিতান্ত অচ্ছুৎ এক ভাসমান পেটি মাস্তান এবং কালের বিবর্তনে মায়ামির সবচেয়ে প্রভাবশালী গডফাদার।

ফিদেল কাস্ত্রো তার দেশের সব দাগী আসামি আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয় যাদের মধ্যে টনি আর রিবেরা দুইজন। প্রথমে কিউবা থেকে আসা এক পলিটিক্যাল লিডারকে খুন করা থেকে শুরু। এরপর হত্যা,গনহত্যা,এবং অবশেষে কোকেন পাচার নিয়ে নামকরা গডফাদার ফ্রাঙ্কের সাথে পরিচয়। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী টনি ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস টাস খেয়ে আবার ঘোড়াকে মেরেও ফেলে ,সাথে বগলদাবা করে ফ্রাঙ্কের পরমাসুন্দরী রক্ষিতাকে,বিয়ে করে অবশ্য। সবসময়ের সাথি রিবেরাকে নিয়ে প্রভাবশালী গডফাদারের তালিকায় নাম ওঠায়।

অইদিকে আর এক টুইস্ট, টনির ছোটবোনের প্রতি আকৃষ্ট হয় রিবেরা। কুখ্যাতির চুড়ায় ওঠার পরে শুরু হয় পতন। অতিরিক্ত ভাবাবেগ, চড়া মেজাজ,বউয়ের সাথে চূড়ান্ত কলহ,খিটখিটে মেজাজ,প্রবল সন্দেহকাতরতা,একগুয়েমী তাকে চুড়ান্ত পতনের পথে নিয়ে যায়। বেচে থাকে না মারা যায়? সবচেয়ে চরম এই ক্লাইমেক্সে মনে হতে বাধ্য কি প্রতাপশালী মানুষের কি করুন পরিণতি। আল পাচিনোর অঅআসাধারণ অভিনয় মনকে আচ্ছন্ন করে রাখবে নিশ্চিত।

টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ Click This Link Lawrence of Arabiaঃ মুভিটি ১৯৬২ সালের। আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.৫ আমার দেখা অন্যতম সেরা এই মুভিটির পটভূমি সৌদি আরব । যুদ্ধ চারিদিকে। ব্রিটিশরা ঘাটি বেঁধেছে সৌদির কাছে। তুরষ্কের বিরুদ্ধে একসাথে জোট বাধার চেষ্টা ব্রিটেন ও সৌদির।

ধু ধু মরুভুমির অকুতোভয় বেদুইনদের দেস সৌদির গোত্রে গোত্রে কলহ। এই সুযোগ নেবে কি সুযোগসন্ধানীরা ?? এমন সময় লেঃ লরেন্সের আবির্ভাব,প্রথম দর্শনে হাবাগোবা এক সেপাই মাত্র মনে হয় যাকে জেনারেল বিদায় করতে পারলে বাচে এমন অবস্থা। তো তাকে পাঠান হয় সৌদি প্রিন্সের কাছে,তাদের আধুনিক অস্ত্রের শিক্ষা দিতে। তুর্কি বিমান হামলা ঠেকানোর চেষ্টায় ব্যস্ত সৌদি বেদুইনরা তখন, কি দিয়ে জানেন? শুধু তলোয়ার আর ঢাল!!!! লরেন্স গুয়ে যোগ দেয় সৌদি প্রিন্সের সাথে। এরপর শুরু হয় লোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চার,ধু ধু মরুভুমি,ধুলাঝড়ে নির্ভিক বেদুইন দলের নেতৃত্বে লরেন্স।

গোত্রগুলোকে এক করা, তুর্কিদের সবচেয়ে শক্ত ঘাটি ধ্বংস করে আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে একসময়ের নিভৃতচারী, উপহাসের পাত্রটি ডিরেক্ট মেজর পোস্টে প্রমোশোন ,সবচেয়ে বড় কথা সৌদিদের কাছে আলৌকিক ক্ষমতাধর ত্রাণকর্তা হিসেবে বিবেচিত হওয়া শুরু করে। এরপর কাহিনীতে আবার টুইস্ট। মুভির স্তরে স্তরে মাথা নষ্ট করা অ্যাডভেঞ্চার,যুদ্ধ,বেদুইন জীবন,ড্রামা,নিজেকে বেদুইন হিসেব আবিষ্কার করা,লোমহর্ষক ঘটনা,প্রতি মুহুর্তেই ঘটনার পরিবর্তন,অসামান্য অভিনইয়,আর কি লাগে?????? আর বলছি না, না দেখলে জীবনের সেরা একটা মিস করবেন নিশ্চিত। কেমন লাগল? অসাধারণ এই মুভিটি আর কালক্ষেপন না করে এখুনি নামিয়ে ফেলুন আর দেখে ফেলুন। টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ Click This Link Matchstick.Menঃ মুভিটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে।

আইএমডিবি রেটিং ৭.৩ রয় এবং ফ্রাঙ্ক দুই বাটপার যারা বাটপারি করে টাকা কামায়। রয় এর মানসিক,শুচিবায়ু কিছুটা সমস্যা থাকে । ঘটনাক্রমে তার মেয়ে অ্যাঞ্জেলা এসে হাজির হয় বাবার কাছে কিছুদিন কাটাতে এবং বাবা রয়ের জীবন পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এমনকি বাটপারি ছেড়ে দিতে চায় সে। এরপর শুরু হয় টুইস্ট,বাকের পর বাঁক,একের পর এক বোম ফাটতে থাকে কাহিনীতে।

নিকোলাজ কেজের দুর্দান্ত অভিনয় মন কেড়ে নেবে নিশ্চিত। এত আপন করে নিল যে মেয়েটিকে সেই মেয়েটি শেষ পর্যন্ত......................কি হয় দেখুন। টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ Click This Link অনেক ভাল থাকুন । আর দেরি না করে মুভিগুলো নামিয়ে বসে যান পিসির সামনে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৫ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।