মিস অ্যানি বেকার নামের এক যুবতী তার নিজের ব্যাথাহীন প্রাণনাশের আবেদন জানিয়েছিল তার দেশের মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনকে। অ্যানি তার আবেদনে একজন ডাক্তারের সাহায্যে আত্মহননের জন্য মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সাহায্য প্রার্থনা করে। অ্যানির এই চিঠিটি এতই মর্মস্পর্শী ও হৃদয় বিদারক ছিল যে, তার কথাগুলো দুনিয়াশুদ্ধ মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়ে যায়। এই চিঠিটি টাইম ম্যাগাজিন থেকে বিভিন্ন জার্নাল এবং সাময়িকীতে পুনর্মুদ্রিত হয়। "The right to kill" নামে এই চিঠিটি এক নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়ার বিষয়বস্তু হলো- মানুষের কি আত্মহননের অধিকার আছে?
অ্যানি তার চিঠিতে মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনকে লিখেছিল "In the name of mercy. I ask you to appoint a doctor to take my I am constantly in pain, I want to die. A competent physician could certainly kill me with less pain than I endure in an hour" অ্যানির চিঠিটি বিখ্যাত মেডিসিন জার্নাল আর্কাইভ অফ ইন্টারনাল মেডিসিনের ১৯৯৪ সালের ১৫৪ ভলিয়াম এ ছাপা হয়
মিস এ্যানি বেকার পেশায় ছিল একজন নার্স।
এক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় তার সমস্ত শরীর বিকৃত হয়ে যায়। তার জিহবাস পুরো মুখগহবরটিই দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায়। প্লাস্টিক সার্জারী করার পরও তার খাদ্য গ্রহণের ক্ষমতা চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে যায়। এর সাথে মেরুমজ্জা অকেজো হয়ে যাওয়ার জন্য তার শরীরের নীচের অংশ অবশ হয়ে যায়। স্নায়ুর অসহ্য ব্যাথ্যা ও কৃত্রিম খাদ্য গ্রহণ করতে করতে অ্যানি দু'বছরের মাথায় হাপিয়ে উঠে।
কোন ব্যাথার ওষধ যখন কাজ করছিল না তখন আত্মহননের সহজ পদ্ধতি বের করার জন্র সে ডাক্তারদের সাহায্য প্রার্থনা করে চিঠি লেখে। যা পরবর্তীতে বিতর্কের সৃষ্টি করে।
ডাক্তারের কাজ Healing কখনও killing নয়। ডাক্তার তখন এ্যানির ডাকে সাড়া দেয়নি। নিতান্তই নৈতিক কারণে তখন এ্যানি বেকারের সেই আবেদন প্রত্যাখান হয়।
বর্তমানে আমাদের রাজনীতির সেই এ্যানি বেকারের মতো অবস্থা হয়েছে। রাজনীতি (রাজনীতিবিদ নয়) এবং জনগণ এখন যন্ত্রনায় কাতর। এমন কোন ব্যাথা নাশক দিয়ে প্রাণনাশ করা হোক যাতে হাসতে হাসতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কারণ আমাদের রাজনীতিবিদরা জনগণের পক্ষে। তারা আব্রাহাম লিংকনের সেই বিখ্যাত বানী- The government is the people, for the people, by the people. অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন।
তারা জনগণের জন্য সবকিছু করবেন প্রয়োজনে গণহত্যা করে গণদাবি প্রতিষ্ঠা করবেন। ...................... হা! হা! হা! (প্রস্থান)
এ লেখাটি কোন পক্ষে গেলে সেটা হবে আমার অজান্তে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।