সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক বিবরণীতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
অনিরীক্ষিত এই বিবরণীতে দেখা যায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে এক হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা, যা ২০১২ সালে ছিল তিন হাজার ৫০ কোটি টাকা।
এই সময়ে ব্যাংকের ২০ টির মুনাফা কমেছে, দুটি ব্যাংকের লোকসান বেড়েছে এবং বাকি আটটির মুনাফা বেড়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, শেয়ারের দাম কমা, অকার্যকর ঋণ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনে কঠোর প্রয়োগকেই মুনাফা কমার কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
এবিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাংক ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বড় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে না। সে কারণেই আগের বছরের তুলনায় মুনাফা বেশি বাড়েনি । ”
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্নীতি করে ব্যাংকগুলো যেসব ঋণ দিয়েছে, সেখানে অনেক টাকা আটকে গেছে। ফলে অকার্যকর ঋণের পরিমাণ বেড়েছে, প্রভিশনও বেড়েছে। তাই মুনাফা কমেছে।
”
এছাড়া ব্যাংকের ঋণ তফসিলিকরণ নীতিমালার পরিবর্তনও ব্যাংকের মুনাফার ওপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাংকের ‘অলস টাকা’র পরিমাণ বৃদ্ধি এবং শেয়ারের দাম কমাকে মুনাফার কমার কারণ হিসেবে দেখছেন মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্যে ধীর গতির কারণে ব্যাংকগুলো ঋণ দেয়ার মতো ভাল প্রকল্প না পাওয়ায় অলস টাকার পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় যেসব ব্যাংকের শেয়ারের দাম আরেক দফা কমেছে তারা লোকসান প্রভিশন আকারে দেখিয়েছে। ”
ব্যাংকগুলোর মধ্যে বছরের নয় মাসে সবচেয়ে খারাপ করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
ওই সময়ে তাদের লোকসান হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর গত বছর ওই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ১২০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ।
আর সবচেয়ে ভাল মুনাফা করেছে ইসলামী ব্যাংক। নয় মাসে ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৯৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। গত বছর একই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ৫০৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।