সমীকরণটা স্পষ্ট—হারলেই কঠিন হয়ে যাবে ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন। বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে পর্তুগালকে বাঁচালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দলের প্রাণভোমরার একমাত্র গোলে গত রাতে সুইডেনকে হারিয়েছে পর্তুগাল। প্লে-অফের প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয়ের ফলে ব্রাজিল বিশ্বকাপের আশা বেঁচে রইল পর্তুগিজদের। একই রাতে অবশ্য কপাল পুড়েছে ফ্রান্সের।
প্রথম লেগে ইউক্রেনের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ ফরাসিদের। গত দুই যুগে এই প্রথম বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স।
সাবেক ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন গ্রিসের চোখ এখন ব্রাজিলে। গত রাতে রোমানিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে দলটি। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার স্বপ্নটা কঠিন হয়ে গেছে অ্যাইসল্যান্ডের।
পর্তুগাল-সুইডেন: রোনালদো নাকি ইব্রাহিমোভিচ— কার যাওয়া হচ্ছে না ব্রাজিল বিশ্বকাপে? পর্তুগাল-সুইডেনের ভাগ্যের চেয়েও যেন ফুটবলপ্রেমীদের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছিল প্রশ্নটা। ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য দুই তারকাই ছিলেন অনেকটা নিষ্প্রভ। নিজেদের মতো খেলতে পারছিলেন না কেউই। শেষ পর্যন্ত সফল হন রোনালদো। ম্যাচের ৮২ মিনিটে গিয়ে! মিগুয়েলের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এই হেড করে সুইডেনের জালে বল জড়িয়ে দেন।
তিন মিনিট পরই ব্যবধানটা দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। তবে তাঁর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথম লেগে এক গোলে এগিয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্ট পর্তুগাল। তবে এখনই আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সময় আসেনি বলে মনে করেন রোনালদো, ‘গোলটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা জয় পেয়েছি।
এ জয় দ্বিতীয় লেগে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তবে এখনও কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। আমাদের সম্ভাবনা ৫০-৫০। বিশ্বকাপে আমরা সুযোগ পাবই, এ নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে আমি আমার সেরাটাই চেষ্টা করব।
’
ফ্রান্স- ইউক্রেন: প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। গোলের দেখা মেলে ম্যাচের ৬১ মিনিটে গিয়ে। ফরাসি ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে ডান পায়ের শটে ইউক্রেনকে এগিয়ে দেন রোমান জুজুয়া। গোলরক্ষক হুগো লরিস বলের গতিরোধও করেছিলেন। তবে তাঁর হাত থেকে বল বেরিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে ঢুকে যায় জালে।
৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেন আন্দ্রে ইয়ারমোলেঙ্কো।
প্রথম লেগে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকায় ফ্রান্সের বিশ্বকাপের সুযোগ পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। তবে আশায় বুক বাঁধছেন ফরাসি অধিনায়ক ও গোলরক্ষক লরিস, ‘এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। আমরা জানি, ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। ’ ইউক্রেনের কোচ মিখাইল ফোমেঙ্কা অবশ্য এ জয়েও খুব বেশি সন্তুষ্ট নন।
আরেকটা গোল না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে গেছে তাঁর, ‘প্রথমার্ধের বিরতির সময় খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, হাল ছেড়ো না, লড়ে যাও। ওরা আমার কথা রেখেছে। আমাদের প্রথম গোলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে। আরও ভালো হতো, যদি ব্যবধানটা ৩-০ হতো। আরেকটা গোল করার সুযোগ ছিল আমাদের।
’ সূত্র: রয়টার্স।
ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, গলফসহ যেকোনো খেলার আপডেট ও খবর পেতে আপনার মোবাইল থেকে S লিখে এসএমএস করুন ২২২১ নম্বরে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।